বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ফাহিমের জন্য এত মায়াকান্না কেন

-----------প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন কলেজ শিক্ষককে হত্যা করতে গিয়ে অপরাধী  (ফাহিম) জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ল, তার জন্য খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কেন? এটা আমার প্রশ্ন? তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে? এই একটা ঘটনা থেকেই বোঝা যায়, গুপ্তহত্যার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের একটা সম্পর্ক রয়েছে।

জাতীয় সংসদে গতকাল প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে পরে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কাউকে কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাসী তত্পরতা চালাতে দেব না। শেখ হাসিনা বলেন, এখানে অনেকগুলো বড় বড় ঘটনা ঘটার নানা রকম ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা যথাসময়ে তথ্য দিয়েছে। আমরা  সেগুলো ধরেছি। এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার প্রায় এক ঘণ্টার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের সব মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-সফলতার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বাজেট। যা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ আজ সব সূচকে অনেক বড় বড় দেশের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। কেউ-ই তা রুখতে পারবে না। তাই আসুন আমরা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই। সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া গুপ্তহত্যার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট প্রকাশ্যে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, হঠাৎ গুপ্তহত্যা কেন? যখন তারা জনগণের রুদ্ররোষের সম্মুখীন হয়েছে, তখনই তারা গুপ্তপথে এসব ঘটনা ঘটিয়ে দেশে একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজা-রমজানের দিন আমরা ইফতার পার্টিতে যাই আল্লাহ-রসুলের নাম নিতে। আর ওই মহিলা (খালেদা জিয়া) সেখানে গিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন গীবত গাওয়া, মানুষের বদনাম করা আর মিথ্যা ও অসথ্য কথা বলা— এটাই হচ্ছে তার চরিত্র।  পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র নিয়ে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদের আশঙ্কার জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সব পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্রই এখন অনেক আধুনিক হয়ে গেছে। তাই এখানে দুর্ঘটনার কোনো সুযোগ নেই। তবুও সব দিক বিবেচনা করেই এই বিদ্যুেকন্দ্র থেকে যেসব বর্জ্য হবে তা রাশিয়া নিয়ে যাবে। ফলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বরং এই বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন যুগে প্রবেশ করব। প্রধানমন্ত্রী দেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে বলেন, পুঁজিবাজারকে আমরা শক্তিশালী করতে চাই। একটি স্থিতিশীল স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক, দক্ষ জাতীয় অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান সৃষ্টিকারী এক পুঁজিবাজারের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুঁজিবাজারের ভিত্তিকে আরও মজবুত করার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি, কারণ যাতে পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের সন্দেহ দূর হয় এবং এটা ভালোভাবে চলতে পারে।

সর্বশেষ খবর