শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভারতীয় ও জাপানিদের লাশ নিজ নিজ দেশে

ইতালীয়দের মরদেহ সিএমএইচে, যাবে কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত ১৭ বিদেশির মধ্যে এক ভারতীয় ও সাত জাপানির লাশ গতকাল তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। ইতালির নয় নাগরিকের লাশ আগামীকাল বুধবার দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। এর প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে মরদেহগুলো ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ সংরক্ষিত আছে। ইতালির রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে এই লাশগুলো নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।

জানা যায়, নিহত ১৯ বছর বয়সী ভারতীয় তরুণ তারুশি জৈনের মৃতদেহ গতকাল দুপুরে জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। পরে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাশ গ্রহণ করেন হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী রাম বিলাস শর্মা, গুরগাঁওয়ের ডেপুটি কমিশনার টি. এল সত্যপ্রকাশ ও অন্য সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, তারুশির মৃতদেহবাহী বিমান বিমানবন্দর এলাকায় দৃশ্যমান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত নারী, পুরুষের চোখ অশ্রসিক্ত হয়ে ওঠে। পরে বিমানবন্দর থেকে মৃতদেহ ডিএলএফ ফেজ-আই’তে কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সর্বসাধারণ তা প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ২৯ নম্বর সেক্টরে সন্ধ্যায় হয় শেষকৃত্য। অন্যদিকে, নিহত সাত জাপানি নাগরিকের মরদেহ বিকালে সিএমএইচ থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার কিছু পরে জাপান থেকে আসা একটি বিশেষ বিমান মরদেহ নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করে।  বিশেষ এই বিমানটিতে নিহতদের স্বজনরা ও দেশটির সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও ঢাকা ছেড়েছেন।

তারুশি জৈন সমাহিত : ঢাকায় জঙ্গি হামলায় নিহত ভারতীয় নাগরিক তারুশি জৈনের (১৯) শেষকৃত্য সম্পন্ন হলো দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে। গতকাল বিকালে দিল্লি-গুরগাঁও জাতীয় সড়কের ধারে গুরগাঁও সেক্টর-২৯-এর এফকো চকের কাছে অবস্থিত শিবমূর্তি শ্মশানে তার লাশ দাহ করা হয়। এর আগে এদিন সকালে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে নিহত তারুশিসহ অন্যদের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তারুশির লাশ তুলে দেওয়া হয় তারুশির বাবা সঞ্জীব জৈন, মা তুলিকা এবং ভাই সঞ্জিতের হাতে। সেখান থেকে দুপুরের দিকে ভারতের জাতীয় পতাকায় ঢাকা কফিনবন্দী লাশ জেট এয়ারওয়েজের বিমানে করে নিয়ে আসা হয় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর থেকে লাশ চলে যায় গুরগাঁওয়ের অর্জুন মার্গের ডিএলএফ-১ কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে তারুশিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন তার স্বজন, কাছের বন্ধু, প্রতিবেশীরা। কফিনবন্দী লাশের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মাসহ স্বজনরা। এ সময় কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল তারুশির পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। তারুশিকে শ্রদ্ধা জানাতে পীযূষ গোয়েলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাও ইন্দরজিৎ সিং, হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী রাম বিলাস শর্মাসহ কয়েকজন বিধায়ক, গুরগাঁওয়ের ডেপুটি কমিশনার টি এল সত্যপ্রকাশসহ রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর