শিরোনাম
রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুরান ঢাকায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

একের পর এক জঙ্গি হামলা এবং ঈদ সামনে রেখে নেওয়া কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পুরান ঢাকায় রাজীব হাসান খান বাবু (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রাজীব ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সূত্রাপুরের রোকনপুর তৃতীয় লেনের ৬ নম্বর বাড়ির সামনে রাজীবকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাজীবের ভগ্নিপতি ইউসুফ বলেন, রাজীবের স্ত্রীর নাম আশা। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। নিহতের বাবার নাম সেলিম রেজা ও মায়ের নাম উম্মে কুলসুম। দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে রাজীব বড়। রাজীব স্ত্রীকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় গনি ভবনের চতুর্থ তলায় থাকতেন। নিহতের মা এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে রোকনপুর তৃতীয় লেনের ১/২ নম্বর বাড়িতে থাকেন। রাজীব প্রায়ই মায়ের কাছে আসতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বরাবরের মতো রাজীব রোকনপুরে মায়ের বাসায় আসেন। মায়ের সঙ্গে দেখা করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেরিয়ে যান। রাতে স্থানীয় বন্ধু সংগ্রামের বাসায় খাবার খান। সেখান থেকে বেরিয়ে ৬ নম্বর বাসার সামনে আসতেই চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে সংগ্রাম পলাতক। পুলিশ জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরের সঙ্গে রাজীবের দ্বন্দ্ব চলছিল। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাসির ও তার লোকজন রাজীবকে হত্যা করতে পারে। নিহতের মা উম্মে কুলসুম বলেন, লক্ষ্মীবাজারে চাঁদাবাজি করতে চেয়েছিল নাসির। কিন্তু রাজীব বাধা দেওয়ায় নাসির আর শাকিল মিলে রাজীবকে মেরে ফেলেছে। মেজবাহ উদ্দিন সোহেল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাতে গুলির শব্দে তার ঘুম ভাঙে। তিনিসহ স্থানীয় অনেকে বেরিয়ে আসেন। তারা দেখতে পান রাজীব গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, রোকনপুর তৃতীয় লেন সরু গলির ৬ নম্বর বাসার সামনে ছোপ ছোপ রক্ত। থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে সেখানে। তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘রাজীবের মাথায় তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রাজীব যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। হত্যায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’ পুলিশের কোতোয়ালি জোনের এডিসি এস এম মুরাদ আলী বলেন, রাজীবের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ সাত-আটটি মামলা রয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। রাজীবের বন্ধু সংগ্রামকে খোঁজা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর