শিরোনাম
সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে পিস টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত

বিশেষ প্রতিনিধি

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিস টিভির সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জঙ্গিরা যাতে হঠাৎ করে কোনো জায়গায় আক্রমণ করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্পরতা বৃদ্ধি করতে আরও সহায়তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান। মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোকে বুঝতে হবে কি প্রচার করলে আমাদের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় বা জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ হয়। তুরস্ক আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বড় বড় ঘটনা ১০ মিনিটের মতো প্রচার করে। অথচ গুলশানের ঘটনা দেড় দিন ধরে সিএনএন দেখাল। যা আমাদের মিডিয়া থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে গুলশান হামলার ঘটনায় সিএনএনের সম্প্রচারের কড়া সমালোচনাও করা হয়।

তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাসের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকের নথিপত্র দেখে বোঝা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে জঙ্গিবাদ বিষয়ে ৩৭টি মামলার মধ্যে পুলিশ ইতিমধ্যে রংপুরে জাপানি হোসি কোনিও এবং গুলশানে ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাসহ ১৪টি মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে। বাকিগুলো তদন্তনাধীন রয়েছে অতি শিগগির সেগুলোর চার্জশিট দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সভায় জঙ্গি কার্যক্রম নির্মূলে এবং নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করার কথাও উঠে আসে। জঙ্গিরা ভালো ভালো ঘরের ছেলেদের প্রথমে এডিকটেড করে পরে তাদের ঘর ছাড়া করে নানা রকম মোটিভেশন দিয়ে বিপদগামী করছে। এটি রোধ করার জন্য একটা সামাজিক বিপ্লব দরকার। জঙ্গিরা হঠাৎ করে যাতে কোনো জায়গায় আক্রমণ করতে না পারে তার জন্য পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্পরতা বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং যারা চাইবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা তাদের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় শোলাকিয়া এবং গুলশান হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য এবং বিদেশি নাগরিকদের আত্মার শান্তি কামনা করে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সভায় ওই ঘটনা মোকাবিলাকারী সামরিক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ কয়েকজন মন্ত্রী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানেরা।

সর্বশেষ খবর