সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

জেএমবির আট সদস্যের  বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যা মামলায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও বিষয়টি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। রাত ৮টায় অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক। এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী। তিনি জানান, ৩ জুলাই জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামিরা হলেন— জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা (৩৩), সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া (৩২), আবু সাঈদ (২৮), সাদ্দাম হোসেন (৩২), আহসান উল্লাহ আনসারী (৩১), নজরুল ইসলাম (৩২) ও সাখাওয়াত হোসেন (৩০)। এদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন, আহসান উল্লাহ আনসারী, নজরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গত বছর ৩ অক্টোবর সকালে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে হোশি কোনিওকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করেন জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা। এ সময় তারা তিনজন ছিলেন। গুলি করার পর মোটরসাইকেলে তারা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৬৬ বছরের কোনিও। প্রসঙ্গত, গত বছর ৩ অক্টোবর রংপুর নগরীর মুন্সীপাড়ায় ভাড়া বাসা থেকে রিকশায় সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে নিজের জাপানি কোয়েল ঘাসের খামারে যাওয়ার পথে কোনিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরপর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দায় স্বীকার করে। ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

 তারা হলেন— কোনিওর ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবির হীরা, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী খান বিপ্লব, রংপুর মহানগর যুবদলের সদস্য রাজীব হাসান সুমন ওরফে মেরিল সুমন, নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্লাক রুবেল ও শালবন মিস্ত্রিপাড়ার কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভরসা কাজল। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু পরে জেএমবির সম্পৃক্ততা পেলেও এই পাঁচজন ছাড়া পাননি। বর্তমানে তারা রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর