মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

রেল পুলিশের পিটুনিতে মুক্তিযোদ্ধা নিহত

জামালপুরে ওসিসহ আট জিআরপি সদস্য প্রত্যাহার

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর রেল স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশের নির্যাতনে আবদুল বারী নামে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা নিহতের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আট পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুল বারীর ছোট ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র মাজহারুল ইসলাম বাবু সোমবার সকালে রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামালপুর স্টেশনে আসে। ৫ আপ ট্রেনে তার রাজশাহী যাওয়ার কথা। কিন্তু টিকিট থাকা সত্ত্বেও জিআরপি পুলিশ তাকে টিকিট কালেক্টারদের কক্ষে আটকে রাখে। খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারী ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে স্টেশনে যায়। স্টেশনে ছেলেকে ছাড়ানোর চেষ্টার সময় পুলিশ আবদুল বারীর ওপর চড়াও হয়। জিআরপি থানার ওসি গৌর চন্দ্র মজুমদারের উপস্থিতিতে পুলিশ স্টেশনের প্লাটফরম এলাকায় প্রকাশ্যে বেদম পিটিয়ে আহত করে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারীকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর ময়মনসিংহ সিএমএইচ-এ স্থানান্তর করা হয়। ময়মনসিংহ সিএমএইচে পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জামালপুরের জেলা কমান্ডার সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম খোকা জানিয়েছেন, জিআরপি থানার ওসিসহ প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারীকে জিআরপি পুলিশ অমানবিকভাবে পিটিয়ে আহত করে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ময়মনসিংহ থেকে মৃতদেহ আসার পর আমরা দোষীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করব।

এ ব্যাপারে জামালপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌর চন্দ্র মজুমদার বলেন, স্টেশনে বিনা টিকিটের যাত্রীদের আটক অভিযান চলছিল। এ সময় ওই মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারী স্টেশন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করলে ধাক্কাধাক্কির সময় তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে আহত হন।

সর্বশেষ খবর