মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
নাইকো দুর্নীতি মামলা

খালেদা আদালতে যাননি, চার্জ গঠনের শুনানি ১০ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১০ আগস্ট নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার নবম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন। অসুস্থতা ও সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তাহীনতার কারণ উল্লেখ করে খালেদা জিয়া শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানালে আদালত প্রথমে তার জামিন বাতিল করলেও পরে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আরজিতে জামিন পুনর্বহাল করা হয়। আদালতে খালেদার পক্ষে আইনজীবী রেজাক খান ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী  মোশাররফ হোসেন কাজল। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— চারদলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম  মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এর আগে ৭ জুন বিচারক আমিনুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় ১১ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক জালাল উদ্দিন আহম্মদ। সেনাসমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদক নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। পরবর্তী বছরের ৫ মে তিনিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে  দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। এরপর খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই দুর্নীতির এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা দায়ের কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না— রুল জারি করে তা জানতে চায় আদালত। ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামিন পান খালেদা জিয়া। প্রায় সাত বছর পর গত বছরের শুরুতে রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাটি সচলের উদ্যোগ  নেয় দুদক। খালেদার আবেদনে রুলের ওপর শুনানি করে গত বছরের ১৮ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। খালেদার করা আবেদন খারিজ করে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয় হাইকোর্টের সেই রায়ে। সেই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া। পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া গত বছরের ৭ ডিসেম্বর লিভ টু আপিল করেন। আবেদনে নিম্ন আদালতে চলমান এ মামলার কার্যক্রম স্থগিতেরও আরজি করা হয়। লিভ টু আপিলের ওপর ৩১ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

সর্বশেষ খবর