মাগুরা কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে গত সোমবার রাতে চার যুবক এসে পুরোহিতকে খোঁজ করার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, পুরোহিতের ওপর হামলা করতে যুবকরা মন্দিরে এসেছিল। পুরোহিত এ সময় না থাকায় তারা ফিরে যায়।
পুলিশ বলছে, ওই ঘটনার পর পুলিশ রাতভর মাগুরা শহরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ১০ আসামিকে আটক করলেও তাদের মধ্যে সেই চার যুবকের কেউ নেই। পুলিশ আরও বলছে, গত দেড় বছরে দেশের বিভন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় দেখা গেছে, তিনজন মোটরসাইকেলে এসে হামলা চালিয়ে চলে গেছে। আর এ ঘটনায় ওই চার যুবককে রিকশায় চড়ে আসতে দেখা গেছে। ঘটনার পর মন্দির এলাকা এবং পুরোহিত পরেশ মজুমদারের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাগুরার পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ জানান, রাত ১০টার দিকে তার কাছে খবর আসে পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা ও দাড়িওয়ালা এক যুবক সন্ধ্যার পরপরই ব্যাগ হাতে কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে প্রবেশ করেন। সন্দেহভাজন ওই যুবক তাবিজ ও তদবির নেওয়ার কথা বলে মন্দিরের সামনে থাকা সমর কুমার নামে স্থানীয় এক দর্শনার্থীর কাছে পুরোহিত পরেশ মজুমদারের খোঁজ করেন। কিন্তু পুরোহিত মন্দিরে নেই এবং তিনি তাবিজ দেন না জানানো হলে তিনি তাবিজের পরিবর্তে ফুল নেওয়ার কথা বলে আবারও পুরোহিত কখন আসবেন জানতে চান। এসপি বলেন, ওই সময় স্থানীয় এক দর্শনার্থী ওই যুববকে জানান যে, পুরোহিত সকালে আসবেন এবং অপরিচিত বা অন্য ধর্মের লোক হওয়ায় তাকে ফুল নিতে হলে পরিচিত কোনো হিন্দু ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকালে আসতে হবে। এ সময় ওই যুবক মন্দিরের থামের আড়ালে গিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা ব্যাগটি মন্দিরের গেটের বাইরে থাকা সঙ্গীদের কাছে দিয়ে আবারও মন্দিরে ঢুকে পুরোহিতের খোঁজ করেন। কিন্তু না পেয়ে তারা মন্দিরের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে চলে যান। এসপি জানান, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মন্দিরের ভিতর ও বাইরে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। তাতে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করা যুবকের হাতে একটি ব্যাগ দেখা গেছে। ওই ব্যাগে চাপাতি জাতীয় অস্ত্র ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।