শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নজরদারিতে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

নজরদারিতে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে আরও অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। শুধু হামলাকারীদেরই নয়, এদের মদদদাতা ও অর্থের জোগানদাতাদেরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সরকারি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ তথ্য।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শোলাকিয়া ঘটনার আগে জেএমবির সদস্য হিসেবে আটক হয়ে কিশোরগঞ্জের বেশ কয়েকজন যুবক ইতিপূর্বে হাজতবাস করেছেন। এ ছাড়া অনেকেই হরকাতুল জিহাদের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের ব্যাপারে নতুন করে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কারাগার থেকে বের হয়ে তারা কী করছেন, কাদের সঙ্গে তাদের চলাফেরা বা সম্পর্ক এসব বিষয়ও গোয়েন্দারা গুরুত্ব দিচ্ছেন। এদিকে শোলাকিয়ায় হামলার সময় আটক জাহিদুল হক তানিমের রিমান্ডের চতুর্থ দিন অতিবাহিত হয়েছে গতকাল। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান। এ মামলায় নতুন করে আর কাউকে আটক করা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। ঈদের দিন শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আবির রহমান নামে এক জঙ্গি নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ ও র‌্যাব। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক শরীফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর পুলিশের হাতে আটক জাহিদুল হক তানিম ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এর বাইরে আরও পাঁচজনকে আটক করা হলেও তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

চর শোলাকিয়া সবুজবাগ এলাকায় আজিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন যে সড়কটিতে (পুলিশের চেকপোস্ট) জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল, পুলিশ এখনো তা বন্ধ রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চপদস্থ দল গতকাল বিকালে কিশোরগঞ্জে আসে। তারা শোলাকিয়া ঘটনার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং তদন্তের খোঁজখবর নিতে এসেছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। আজ তারা শোলাকিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর