শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

শোকের মাতম ফ্রান্সে

নিস শহরে বাস্তিল দিবসের উৎসবে ট্রাক ছুটিয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ

প্রতিদিন ডেস্ক

শোকের মাতম ফ্রান্সে

লাশের পাশে বাকরুদ্ধ স্বজন। হামলায় ব্যবহূত ট্রাক। রাস্তায় পড়ে থাকে সারি সারি লাশ —এএফপি

আট মাসের মধ্যেই ফের জঙ্গি হামলার শিকার হলো ফ্রান্স। গত নভেম্বরে প্যারিসের পরে রক্ত ঝরল সুন্দর শহর নিসে। বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় দিবস ‘বাস্তিল ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে রাতে আতশবাজির প্রদর্শনী দেখাতে নিসের সমুদ্রসৈকতে জড়ো হয়েছিল হাজারো মানুষ। আনন্দের উৎসবে মেতেছিল তারা। রাতের কালো আকাশ ফুঁড়ে ঝিলিক উঠছিল আতশবাজির বর্ণিল আলো। এরপর রাত ১১টার দিকে যখন অনেকে বাড়ি ফিরছিল ঠিক সেই সময় এক ঘাতক ট্রাক নিয়ে তেড়ে যায়। মানুষের স্রোতে বেপরোয়া গতিতে ঢুকে যায় ট্রাকটি। ঘাতক সেই ট্রাকের চাপায় হত্যা করে কমপক্ষে ৮৪ জনকে। যাদের অনেকে শিশু। আহত হয় শতাধিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ ঘটনার পর ফ্রান্সজুড়ে চলছে মাতম। নিহতদের মধ্যে বিদেশিও আছেন। প্রাথমিকভাবে সাতজন ইতালীয় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যে সমুদ্রসৈকতটি পর্যটকের কোলাহলে মুখর থাকে তা গতকাল থেকে নীরব হয়ে পড়েছে। অনেকেই বাড়িতে দিন পার করছেন। বাড়িঘরের জানালাগুলোও শক্ত করে লাগিয়ে রাখা হয়েছে। ক্যাফে ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকে শুধু চালকই ছিল। প্রথমে ট্রাক থেকে গুলি ছোড়া শুরু হয়। এরপর ভিড়ের মধ্য দিয়েই চালিয়ে দেওয়া হয় ট্রাক। তাতেই মারা যায় নিরীহ ওই মানুষগুলো। পরে পুলিশ গুলি করে ওই চালককে হত্যা করে গাড়িটি থামায়। গুলিতে ট্রাকের সামনের অংশ ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। পুলিশের দাবি, পরে ওই ট্রাকের ভিতর থেকে গ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ জরুরি বৈঠকে বসেন। প্রশাসনকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেন। জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেন। অথচ চলতি মাসেই দেশটিতে চলমান জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার কথা ছিল।

এদিকে নিস শহরে ট্রাক হামলার ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আজ থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস। তা ছাড়া আরও ৫০ শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে হামলার দায় স্বীকার না করলেও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলেছেন।

এ ঘটনার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বনেতারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। আসেম সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গোলিয়ায় অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ বরাবরের মতোই ফ্রান্সের জনগণের পাশে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ফ্রান্সের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন।

এরই মধ্যে গতকাল ওই ঘাতক ট্রাকচালককে আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তিনি তিউনিসিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক। ৩১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম লাহৌআইজ বৌহলেল। পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি নিস শহরেই থাকতেন এবং পুলিশের কাছে পরিচিতও ছিলেন। তবে জঙ্গিসম্পৃক্ততার কোনো অভিযোগ পুলিশের কাছে ছিল না। এ ব্যক্তি একাই হামলা চালিয়েছেন নাকি তার কোনো সহযোগী ছিল, তা নিশ্চিত হতে ব্যাপক পুলিশি অভিযান চলছে। পুলিশ সূত্র ও ফরাসি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দিন আগে নিস শহরের পাশের সেন্ট-লঁরা-দু-ভার থেকে ট্রাকটি ভাড়া করেন চালক। ফরেনসিক কর্মকর্তারা গাড়িটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।

মূলত বছর দুয়েক আগে কার্টুন ম্যাগাজিন শার্লি এবদোতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ফ্রান্স। পরে ওই পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। এরপর গত বছরের নভেম্বরে প্যারিসে এক জঙ্গি হামলায় ১৩০ জন নিহত হন। এবার হামলা চালানো হলো নিস শহরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাস্তিল দুর্গ পতনের দিবস হিসেবে ফ্রান্সে জাতীয়ভাবে দিনটি পালন করা হয়, এ উপলক্ষেই শহরটিতে নানা অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় এক চালক একটি ভারী ট্রাক দ্রুতগতিতে জনতার ওপর তুলে দেন। সাগরসৈকতের কাছে ওই অবকাশযাপন কেন্দ্রের প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রাকটি টেনে নিয়ে যান চালক। হত্যা করেন ৮৪ জনকে। এএফপির খবরে জানানো হয়, উৎসবে আগত লোকজনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদক রবার্ট হলোওয়ে ছিলেন। ট্রাকটি জনতার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় উড়ে আসা টুকরা-টাকরা থেকে রক্ষা পেতে মুখ ঢাকতে হয় তাকে। হলোওয়ে বলেন, ‘এটা ছিল পুরোপুরি হত্যাযজ্ঞ। লোকজনকে আঘাত করা হচ্ছে। এসব থেকে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করতে হচ্ছিল।’ একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, ওই চালক হয়তো ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। নাদের নামে ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি রাস্তায় ছিল। বহু লোককে পিষ্ট করে ট্রাকটি ঠিক আমার সামনে এসে থামে।’

হামলাকারীকে আগে থেকেই চিনত পুলিশ : নিসে ট্রাক নিয়ে হামলা চালানো চালককে আগেই চিনত পুলিশ। ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তবে আগে তার কোনো সন্ত্রাসবাদসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি। ফরাসি তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ‘সহিংসতা সৃষ্টিকারী হিসেবে পুলিশের কাছে তার পরিচিতি ছিল। সে অস্ত্রও ব্যবহার করত। তবে তার কোনো সন্ত্রাসবাদী সংযোগ ছিল না।’ আগে জিহাদি কোনো গ্রুপের সঙ্গে বৌহলেলের সম্পৃক্ততা বা যোগাযোগের খবর পুলিশের কাছে নেই। তার তিন সন্তান আছে। নিস পরলওয়ে স্টেশনের কাছে তার বাড়ি। এক তলা ওই বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এ ছাড়া বৌহলেলের সাবেক স্ত্রীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। হামলার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশের সঙ্গে কথা হয় বৌহলেলের। ওই সময় বৌহলেল একটি রাস্তায় প্রায় নয় ঘণ্টা ট্রাকটি দাঁড় করিয়ে রাখেন। পুলিশ এ নিয়ে তাকে জেরা করলে তিনি জানান, আইসক্রিম ডেলিভারি দিতে ঘটনাস্থলে এসেছেন তিনি।

হামলার প্রথম শিকার মুসলিম নারী : ফ্রান্সের নিস শহরে বাস্তিল দিবসের উৎসবে জড়ো হওয়া জনতার ওপর ট্রাক হামলায় প্রথম যার মৃত্যু হয়েছে তিনি একজন মুসলিম নারী। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ জানায়, মৃত নারীর দুই ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা স্তম্ভিত হয়ে যায়। হালকা নীল একটি কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল মৃতদেহটি। ওই সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেছে অনেক মুসলিমও। এর মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন আরব বংশোদ্ভূত মুসলমানও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইরানের একজন সাংবাদিকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান অনলাইন। মরিয়ম ভাইওতি নামে ইরানের ওই নারী সাংবাদিক জানান, ট্রাকচাপা পড়া মৃতদেহগুলো তিনি দেখেছেন। এগুলোর মধ্যে কয়েকজন ছিলেন নারী এবং এদের মধ্যে অন্তত দুজন হিজাব পরিহিত ছিলেন।

আইএস সমর্থকদের উল্লাস : নিসে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় উল্লাস করেছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সমর্থক নিউজ চ্যানেলগুলো। একটি পোস্টার দিয়ে তাতে ক্যাপশন লেখা হয়, তোমাদের মুখ আগুনে পুড়িয়ে আমরা সব মুসলিমের মুখে হাসি ফোটাব। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিশ্বজুড়ে আইএসের বিরুদ্ধে যে জোট গড়ে উঠছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে একটি কবিতাও প্রকাশ করেছে জঙ্গি গোষ্ঠীটির সমর্থকরা। আইএস সমর্থকরা এক মন্তব্যে বলেছে, এক মুসলিম এককভাবে ট্রাক নিয়ে কী করতে পারে তা দেখে পশ্চিমাদের টনক নড়া উচিত। ফ্রান্সের শহর নিসের হামলা সরাসরি আইএস নয় বরং আইএসের কোনো অনুসারী চালিয়েছে। আইএসপন্থি আরেকটি চ্যানেলে একটি ছবিতে দেখানো হয়েছে আইফেল টাওয়ার আগুনে পুড়ছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ‘পশ্চিমা দেশগুলোয় হামলার দায় স্বীকার করতে আইএস সাধারণত কয়েক ঘণ্টা এবং কখনো কখনো এক দিন বা দুই দিন পর্যন্তও সময় নেয়। সাধারণত আমাক নিউজ চ্যানেলের মাধ্যমে তারা হামলার দায় স্বীকার করে।’

বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া : নিস শহরে ট্রাক চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশ ও বিশ্বনেতারা। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনার পাশাপাশি ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ রোধে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তারা।

সহযোগিতার প্রস্তাব ওবামার : হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে ‘যে কোনো ধরনের সহায়তা’ দিতে ফ্রান্সের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ঘটনার পর পরই দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবামা বলেন, ‘মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি; সাধারণ মানুষকে হত্যা করার এ ঘটনা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, ওবামা নিসের ঘটনার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। তার উপদেষ্টারাও তীক্ষ নজর রাখছেন।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক : ভয়াবহ এ হামলায় নজিরবিহীন প্রাণহানির ঘটনায় ফ্রান্সের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোরে টাস্ক বলেন, ‘সহিংসতা ও ঘৃণার বিরুদ্ধে হওয়া লড়াইয়ে ইউরোপ ঐক্যবদ্ধভাবে ফরাসি জনগণ ও তাদের সরকারের পাশে থাকবে।’ একাদশ এশিয়া-ইউরোপ (এএসইএম) শীর্ষ সম্মেলেন যোগ দিতে টাস্ক মঙ্গোলিয়ায় অবস্থান করছেন। ওই সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের অনেকেই অবস্থান করছেন। এএসইএমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে নিসে হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশ্বনেতাদের বক্তৃতায়ও বার বার উঠে এসেছে এ হামলা প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার আহ্বান।

সহমর্মিতার বার্তা পুতিনের : ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের নিস শহরে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ওলাঁদের কাছে সহমর্মিতার বার্তা পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

অপূরণীয় ক্ষতিতে দুঃখিত-স্তম্ভিত বরিস জনসন : হামলায় বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘নিসের বেদনাদায়ক ঘটনায় দুঃখিত-স্তম্ভিত। জীবনের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’

মেরকেলের নিন্দা : জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে ফরাসি সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। উলানবাটোরে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মেরকেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্সের পাশে থাকবে জার্মানি, থাকবে আরও অনেকে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সব ধরনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে এ লড়াইয়ে আমরাই বিজয়ী হব।’

যুক্তরাজ্যসহ কয়েক দেশে নিরাপত্তা জোরদার : নিস শহরে সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ। ইতালি সীমান্ত থেকে মাত্র ২২ মাইল দূরে নিস শহরে এ হামলার পর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার ঘোষণা দিল যুক্তরাজ্য। জার্মানিও নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এএফপি, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, নিউইয়ক টামইস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর