শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পর্যটনের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পর্যটনের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা জরুরি

পর্যটন শিল্পের বিকাশে ভিসা নিয়ে ‘দূতাবাস জটিলতা’ এড়াতে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের পর্যটকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, অন-অ্যারাইভাল ভিসাই বাংলাদেশ ও ভারতের, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যকার পর্যটন খাত আরও ভালো করার একমাত্র উপায়। গতকাল ভারতের শিলংয়ে শুরু হওয়া নদী উৎসব-২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্থানীয় গবেষণা সংস্থা ‘এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স’ আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশের রাজনীতিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, টুর অপারেটর, আমলা ও নদী বিশেষজ্ঞদের ১৪৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মেনন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী মেনন বলেন, ‘বিরক্তিকর ভিসা প্রশাসনের’ অধীনে পর্যটন খাত বিকশিত হতে পারে না। বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-গুয়াহাটি ফ্লাইট এবং ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি বাস সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করতে ‘খুবই আগ্রহী’ বাংলাদেশ।  রাশেদ খান মেনন এ সময় উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনশিল্পের বিকাশে ভারতকে সীমান্ত এলাকায় ‘যত বেশি সম্ভব’ তল্লাশি চৌকি খোলার পরামর্শ দেন। মেনন বলেন, পর্যটন হিমালয় অববাহিকার দেশসমূহের মাঝে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ত্বরান্বিত করবে। এ জন্য এই দেশগুলোকে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। হিমালয়ের অববাহিকায় উত্পন্ন নদীসমূহ ঘিরে এ পদক্ষেপের সূচনা হতে পারে। কারণ এসব নদী এ অঞ্চলের মানুষের জীবন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে। নদীবিধৌত এ সভ্যতাকে পর্যটন সম্ভাবনায় রূপ দিতে হবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের মাঝে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে নদী, রেল, সড়ক, বিমান ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এ যোগাযোগকে ভিত্তি হতে পারে পর্যটন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালথানওয়ালা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে নৌ-যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা সড়ক ও রেল পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করছি। তবে নদীপথেও আমাদের সংযোগ দরকার। সে জন্য আমাদের নদ-নদীগুলো সংরক্ষণ ও রক্ষা করতে হবে। অনেক বেশি বাঁধ দিয়ে আমরা যেন সেগুলোকে মেরে না ফেলি।

সর্বশেষ খবর