রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, যারা মদদ দিয়েছে— তাদের পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, যারা এর মদদ দিচ্ছে, তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী অত্যন্ত তত্পর। আমরা মনে করছি আমরা সঠিক পথে চলছি। যারা জড়িত  তাদের আমরা ঠিকমতো চিহ্নিত করেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এ ব্যাপারে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। গতকাল সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগুন-সন্ত্রাস করে যারা সরকারকে পর্যুদস্ত করতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়ে গুপ্তহত্যায় লিপ্ত হয়েছিল। তারাই টার্গেট কিলিং করছে। তবে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এগুলো মোকাবিলা করে ওভারকাম করে চলছে। গুলশান হত্যাকাণ্ডের পর সফরে এসে নিশা দেশাই বিসওয়াল কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তথ্য আদান-প্রদানসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কয়েকটি ক্ষেত্রে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সরকার এখন সেটাই খতিয়ে দেখছে। এরপরই বলা সম্ভব হবে যে আমেরিকার কতটুকু সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রয়োজন। নিজেদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তারপর সহযোগিতা চাওয়া হবে। গুলশান হামলার আগে বিজিবি যে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছিল, এখন আবার তা চলবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের অভিযান সব সময়ই চলে। কখনো ঘোষণা দিয়ে কখনো ঘোষণা ছাড়াই চলে। প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো সময় অভিযান চালাতে পারে। ওসি সালাউদ্দিন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হওয়ার পরও ঘটনার সময় কেন গুলশানে গিয়েছিলেন সে প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে— মন্ত্রীকে জানালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী হামলার ইঙ্গিত সরকারের কাছে সব সময়ই ছিল।