মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন

তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশ-ভারত আসামি বিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বহিঃসমর্পণ চুক্তির একটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে কোনোরকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যে আসামি বিনিময় করতে পারবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বহিঃসমর্পণ চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়ে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহিঃসমর্পণ চুক্তি হয়। ওই বছরের ৭ অক্টোবর এ চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয় মন্ত্রিসভা। ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে চুক্তিটি কার্যকর রয়েছে। এ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদের একটি ধারা জটিল হওয়ায় ভারত সরকার এটি ‘সহজ’ করার অনুরোধ করেছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতেই ধারাটি সংশোধন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ ধারাটি সংশোধনের ফলে বাংলাদেশের কেউ ভারতে আছে, কিন্তু বাংলাদেশে কোনো জজ, ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাইব্যুনাল বা এ ধরনের অথরিটি তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে তাহলে ট্রায়াল করার জন্য ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। একইভাবে ভারত সরকার যদি ওয়ারেন্ট থাকা কাউকে চায় আমরা তাকে হ্যান্ডওভার করে দেব।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা কাউকে বিচারের সম্মুখীন করতে বহিঃসমর্পণের জন্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে হতো। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা চলমান নার্স নিয়োগে শূন্যপদে কোটা শিথিল করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর ফলে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে তা পূরণ করা যাবে। তিনি বলেন, ৯ হাজার ৬১৬টি শূন্যপদ পূরণ হয়ে গেলে ভবিষ্যতে আবার কোটা শিথিলের জন্য নতুন করে মন্ত্রিসভার অনুমতি নিতে হবে। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৬-এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, নতুন আইন হলে সরকারের অনুমোদন নিয়ে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের যে কোনো স্থানে নতুন শাখা খুলতে পারবে। এ ছাড়া আইনের অন্য বিষয়গুলো আগের মতোই রাখা হয়েছে। এ আইনের আলোকে আঁশজাতীয় ফসল উত্পাদন ও গবেষণা; পাটবীজ উত্পাদন, সরবরাহ, সংগ্রহ ও বিতরণ ছাড়াও পাটজাত পণ্য নিয়ে গবেষণায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যাবে।

সর্বশেষ খবর