নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শেখ ওমর শরীফ আল মারুফ রাসেল ও সংগঠক আশিকুর রহমান রানার গ্রেফতারের তিন দিনের মাথায় জামিনে মুক্ত হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। জঙ্গিদের সাম্প্রতিক মাথাচাড়ার মধ্যে শীর্ষ এ দুই জঙ্গি নেতা কীভাবে জামিন পেল তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে। অভিযোগ উঠেছে, এ দুই জঙ্গিকে আদালতে সোপর্দ করার সময় জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করেনি পুলিশ। ফলে সহজে জামিন পেয়ে যায় এ দুই জঙ্গি সংগঠক। সূত্রে জানা গেছে, শেখ ওমর শরীফ ও হাবিবুন নবীকে কারাগেট থেকে আটকের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে নাশকতার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেন কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। মূলত এ দুই জঙ্গিকে সহজে জামিন পাইয়ে দিতেই এসআই মাসুদ জঙ্গি সংগঠক হিসেবে তাদের আদালতে সোপর্দ করেননি। জানা যায়, চট্টগ্রামের একটি আদালতে ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আত্মসমর্পণ করেন ফেনীর সাবেক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ ওমর শরীফ। এ বছরের ২৬ মে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান। জেলগেট থেকে ফের তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ২৭ মে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়। ৩০ মে জামিন মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নাজমুল আলম। ওই দিনই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। ২০১৪ সালের নভেম্বরে আন্দরকিল্লা শাহি মসজিদের সামনে লিফলেট বিলির সময় গ্রেফতার হয় হাবিবুন নবী। এ বছরের ১৩ মে জামিনে মুক্ত হয় সে। কারাগেট থেকে গ্রেফতারের পর ১৪ মে আবারও আদালতে চালান দেওয়া হয়। ১৬ মে হাবিবুন নবী চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নওরীন আক্তার কাঁকনের আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যায়।