রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

আইএস নয়, হামলায় দেশি জঙ্গিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইএস নয়, হামলায় দেশি জঙ্গিরা

আইএস নয়, দেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোই বিভিন্নস্থানে হামলা চালাচ্ছে। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণ সমাজের একাংশকে বিপথগামী করা হচ্ছে। যারা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত তারা এ দেশেরই লোক। এরা বিদেশ থেকে আসেনি, এরা হোমগ্রোন জঙ্গি। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, হাত-পায়ের রগ কেটেছে তারাই হুজি, জেএমবি, এবিটি বা হামজা ব্রিগেট নামে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এরাই আইএস বলে দাবি করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় পরিবারগুলোকে সন্তানদের প্রতি নজর দেওয়াসহ সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো দেশ দখল করিনি। সিরিয়া, পাকিস্তান বা ইরাকের সঙ্গে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই। কোনো বিদেশি এসে আমাদের দেশ দখল করেনি। দেশের কিছু মানুষ দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারীরাই ছাত্রদের জঙ্গি হতে মদদ দিচ্ছে। গতকাল সকালে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ সবুর। ‘শুদ্ধ হোক সমাজ, মুক্ত হোক বিবেক’ এ স্লোগানে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। উদ্বোধনী দিনে ‘সামাজিক সচেতনতাই জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে পারে’ এ বিষয়ের ওপর বিতর্কে অংশ নেয় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিযোগিতায় ছায়া সংসদে সরকারি দলের ভূমিকায় ছিল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এবং বিরোধী দলে ছিল প্রাইম ইউনিভার্সিটি। সমানসংখ্যক নম্বর পাওয়ায় দুই দলকে যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুদলই বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সামাজিক সচেতনতা ও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে যে ডাক দিয়েছেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সে ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগে জঙ্গিবাদে মাদ্রাসার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রদের উৎসাহিত করা হতো। এখন সমাজের প্রতিষ্ঠিত মেধাবীদের কাছে গিয়ে জঙ্গিরা জিহাদের নামে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমনে সরকার সতর্ক অবস্থায় আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্কতার কারণে গুলশান ঘটনার তিন মিনিটের মধ্যে পুলিশ উপস্থিত হতে পেরেছে। শোলাকিয়ায় আগে থেকেই তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। তা না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতো। সরকারের পাশাপাশি সমাজকেও জঙ্গিবাদ দমনে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সন্তানের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কারণে কোনো বাবাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হচ্ছে—এমন কিছু আমরা দেখতে চাই না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর