ট্যুরিস্টদের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সম্ভব বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেছেন, একজন ট্যুরিস্টের মাধ্যমে ১১ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে সবার আগে ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। গতকাল শ্রীমঙ্গলের টি হ্যাভেন রিসোর্টে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা ও সমস্যার নানা দিক নিয়ে বাংলানিউজ আয়োজিত বিশেষ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন মন্ত্রী। রাশেদ খান মেনন বলেন, যেসব এলাকায় ট্যুরিস্ট স্পট রয়েছে, সেসব এলাকার মানুষকে পর্যটনমনস্ক হতে হবে। এ ছাড়া ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এ সেক্টরে। তিনি বলেন, পর্যটন এলাকা পরিচ্ছন্ন না থাকলে ট্যুরিস্ট আসবে না। এ জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিতে হবে। তবে যেসব ট্যুরিস্ট এলাকা প্রোটেকটেড (সংরক্ষিত), সেসব এলাকাকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। রাতারগুল, লাউয়াছড়া বনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব প্রোটেকটেড এলাকা রক্ষা করতে হবে। কিন্তু অনেকে অতিলোভে প্রকৃতি ও পর্যটনকে ধ্বংস করছে। আমরা বনায়ন ধ্বংস করে ফেলছি, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে ফেলছি। আজ জাফলং, লালাখাল ধ্বংসের দিকে। আমরাই এগুলোকে ধ্বংস করে ফেলছি।
সিলেট অঞ্চলে পর্যটন বিকাশে শ্রীমঙ্গলে পর্যটন হোটেল-মোটেল করার পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে আগামী এক বছরের মধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বিমানবন্দর চালু করার কথা বলেন তিনি। অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজারের পর ‘সিলেটে পর্যটন’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনার সূচনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন।