বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
গুলশান হামলায় দুজনের সাক্ষ্য

জীবনের ভয়ে টয়লেটে লুকিয়ে থাকি

আদালত প্রতিবেদক

গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলায় দুই সাক্ষি গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের একজন ভারতীয় নাগারিক সত্য প্রকাশ এবং আরেকজন হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর বাবুর্চি শাহীন। ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম সত্য প্রকাশের এবং ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব শাহীনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।  জবানবন্দি শেষে দুই সাক্ষি বিকাল ৩ টার দিকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এলাকা ত্যাগ করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির দুই সাক্ষির জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন আদালতের কাছে।   আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে সাক্ষিরা উল্লেখ করেন যে, ঘটনার আগে ভারতীয় নাগরিক সত্য প্রকাশ হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে যান। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান। তখন জীবনের ভয়ে টয়লেটের মধ্যে লুকিয়ে থাকেন তিনি। ঘটনার সময় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর বাবুর্চি শাহীন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। গোলাগুলির শব্দ শুনে তিনিও টয়লেটের ভিতর লুকান। এদিকে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার নর্থ সাউথের এক শিক্ষকসহ তিন জনকে আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এ আদেশ দেন। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির আসামিদের আদালতে হাজির করে কারগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিরা হলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম গিয়াস উদ্দিন আহসান, তার ফ্ল্যাটের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান এবং ওই অধ্যাপকের ভাগ্নে আলম চৌধুরী।  এ তিন আসামিকে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমাতি পায় পুলিশ। এ ছাড়া তথ্য না জেনে জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে নুরুল ইসলাম নামের এক বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়। রিমান্ডে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গত ২০ জুলাই কারাগারে পাঠান আদালত।

সর্বশেষ খবর