শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

সরকার দোষারোপের রাজনীতি করছে

সরকার দোষারোপের রাজনীতি করছে

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার জঙ্গিবাদ দমনে আন্তরিক নয়। এ কারণে জীবিত সন্দেহভাজনদের ধরার পর বন্দুক যুদ্ধের নামে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। প্রকৃত জঙ্গিদের না ধরে সরকার দোষারোপের রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, রাজধানীর কল্যাণপুরে আসলে কী ঘটনা ঘটেছে— তা আমি জানি না। তবে তারা জঙ্গি হলে সামনা-সামনি গোলাগুলি করে মারা যাওয়ার কথা। কিন্তু ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে পেছন থেকে গুলি লেগে। কল্যাণপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহতরা আসলেই জঙ্গি কি না— তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় ড. মোশাররফ এ সংশয় প্রকাশ করেন। ব্যারিস্টারস ফর চেঞ্জ নামের একটি সংগঠন ‘সা?প্লিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ড এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার ক্ষেত্রে এর প্রভাব’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ড. মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রকৃত জঙ্গিদের না ধরে দোষারোপের রাজনীতি করছে এবং বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করছে। কিন্তু গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিদের একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে। বিদেশ থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে হুমকি দিয়েছে সাবেক সচিব শফিউর রহমানের ছেলে। শফিউর মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে জনতার মঞ্চ করেছিলেন। কল্যাণপুরে যারা মারা গেছে তাদের একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে। বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি এরা বিএনপি বা জামায়াত নেতার ছেলে হতো তাহলে আকাশ-পাতাল হয়ে যেত। তিনি আরও বলেন, কল্যাণপুরে সাদবিন অর্ক নামের যে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে, তাকে বেশ কিছুদিন আগে জামিনে বের হওয়ার সময় কাশিমপুর কারাগারের গেট থেকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে নিয়ে আসে এবং এতদিন সে র‌্যাবের হাতেই ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সব দলকে আহ্বান জানানো হবে। আওয়ামী লীগ বা তাদের সমমনা দলগুলো না এলে জনগণ তাদের জন্য অপেক্ষা করবে না। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তারেক রহমানের সাজার প্রতিক্রিয়ায় যেসব কর্মসূচি চলছে তা বিএনপির মূল আন্দোলনের অংশ। খালেদা জিয়া বা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাজা দিয়েও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থামানো যাবে না। দেশে গণতন্ত্র না থাকা এবং মানুষের কথা বলার অধিকার না থাকায় জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর