অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সরকারের কাছ থেকে সেবা পেতে আরও কর দিতে হবে। বর্তমানে সরকারের যে রাজস্ব আয় সেটা দিয়ে পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সবুজ শিল্পনীতি সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম আবু ইউসুফ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। আগামী কয়েক বছরে জনসংখ্যা ২০ কোটিতে পৌঁছবে। ফলে সরকারি সেবা পেতেও মানুষের চাহিদা বাড়বে। এই চাহিদা দিতে সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দারিদ্র্য মুক্তি বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর সব দেশেই ১০ শতাংশের কাছাকাছি দারিদ্র্য হার রয়েছে। বাংলাদেশে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্য নির্মূল হয়ে যাবে। তবে ১০ শতাংশের মতো এখানেও থাকবে। তিনি বলেন, এত মানুষের সেবা পেতে সরকারের অনেক ব্যয় করতে হবে। সেটা পূরণ করতে হলে আরও বেশি কর দিতে হবে। চাহিদার তুলনায় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ খুবই কম। তাই আমি আহ্বান জানাই সবাইকে আরও বেশি করে কর দিতে। যত মানুষ বাড়ছে সঙ্গে শিল্পায়নের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণও বাড়ছে। এই দূষণ থেকে রক্ষা পেতে শিল্প-কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনাগার ও বর্জ্য ফেলার জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। সরকারিভাবে নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলা হয়। বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ভালো ব্যবস্থা হচ্ছে। যেমন আমাদের তরফে আমরা ট্যানারির বর্জ্য পরিশোধনের জন্য সাভারে চামড়া শিল্পনগরে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করে দিচ্ছি। সরকার বর্জ্য পরিশোধনাগারের দায়িত্ব নিলে সহজ সমাধান হয়। তবে সরকারের এ সহায়তা পাওয়ার জন্য অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন। বর্তমান রাজস্ব দিয়ে হয় না। অনুষ্ঠানে এমসিসিআইয়ের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর পরিবেশসম্মত কারখানা করতে কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তহবিল থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ হারও বেশি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসান মজুমদার, ব্যবসায়ী আনিসুদ্দৌলা প্রমুখ।