বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা

পুলিশ সদর দফতরে গেলেন এসপি বাবুল

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা

পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে নিয়ে রহস্য কাটছে না। অজানাই থেকে যাচ্ছে অনেক প্রশ্নের উত্তর। ৫ জুন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার পর গতকাল দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে তার যাওয়া নিয়ে আবারও নতুন করে আলোচনায় বাবুল আক্তার। পুলিশবাহিনীতে বাবুলের চাকরি নিয়ে কী ঘটতে যাচ্ছে, এ নিয়ে খোদ তার সহকর্মীদের মধ্যেই কৌতূহলের শেষ নেই। বাহিনীর গুটিকয় কর্মকর্তা ছাড়া স্পর্শকাতর এ বিষয়টি নিয়ে প্রায় সবাই অন্ধকারে রয়েছেন বলে সহজ স্বীকারোক্তি ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তার। অন্যদিকে, সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, বাবুল আক্তারের চাকরিতে যোগদান নিয়ে তো কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। বাকিটা আপনারা পুলিশের কাছ থেকে জানুন। তিনি আরও বলেন, ‘এসপি বাবুল আক্তার যে আজ পুলিশ সদর দফতরে গিয়েছিলেন তা আমার নলেজে আছে।’ পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, ২৪ জুন রাত থেকে স্ত্রী মিতু হত্যার বিষয়ে টানা ১৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই এসপি বাবুল চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে সিনিয়র সচিব বরাবর একটি আবেদন দিয়ে আসেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে। পরে ওই পদত্যাগপত্রটি পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পর্যায়ক্রমে তা সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয় পর্যন্ত যাবে। সেখান থেকে সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে তা জিও হবে। পরে তা পুলিশ সদর দফতরে আসবে। তখন আবেদন কার্যকর হবে। এর আগ পর্যন্ত বাবুল বহাল থাকবেন। গতকাল দুপুর সোয়া ১টায় এসপি বাবুল পুলিশ সদর দফতরে যান। সেখানে তিনি ১ ঘণ্টা ছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কক্ষে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এসপি থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তার চাকরি থেকে বরখাস্ত কিংবা স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন সরকারের সর্বোচ্চ মহলই সিদ্ধান্ত নেয়। বাবুলের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। স্ত্রী হত্যায় বাবুলের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা আছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি তদন্তসংশ্লিষ্টরাই বলতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর