শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাকাপুত্র হুম্মাম কাদের আটক

রায় ফাঁস মামলার রায় ১৪ আগস্ট

নিজস্ব ও আদালত প্রতিবেদক

সাকাপুত্র হুম্মাম কাদের আটক

যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে গোয়েন্দা পুলিশের কেউ এ বিষয়ে কথা বলেননি। হুম্মামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার ব্যক্তিগত আইনজীবী চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব রাগিব।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে রায় ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন হুম্মাম। আদালতের সামনে থেকেই তাকে ১০-১২ জন নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।

হুম্মামের ব্যক্তিগত সচিব মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী শিবলী বলেন, গতকাল সকালে আদালতে হাজিরার সময় হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও তার মা ফারহাত কাদের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তারা নিয়মিত হাজিরা দিতেই সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় ডিবি পরিচয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই হুম্মামকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, হুম্মামকে আটকের বিষয়ে তার জানা নেই।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু এর আগেই ইন্টারনেটে সে রায় প্রকাশিত হয়ে যায়। এ ঘটনায় সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ।

সাকা চৌধুরীর স্ত্রী-পুত্রের রায় ১৪ আগস্ট : সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের রায় ফাঁসের ঘটনায় তার স্ত্রী-পুত্র ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেছে আদালত। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম এ আদেশ দেন।  এ বিষয়ে আদালতের পেশকার শামীম আহসান জানান, শুনানির সময় আদালতে হাজির না থাকায় সালাউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ছাড়া জামিনে থাকা বাকি চার আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। কারাগারে পাঠানোরা হলেন— সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেন। এ ছাড়া মামলার আরেক আসামি আইনজীবী ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল তাদের বিচার শুরু করে। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ের আগেই তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। পরে রায়ের ‘খসড়া কপি’ও সংবাদকর্মীদেরও দেখান। এ সময় আদালতের রায় নিয়ে কটাক্ষও করেন। রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন।

সর্বশেষ খবর