বিএনপির নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেশ কিছু সাবেক ও বর্তমান নেতার স্ত্রী-সন্তানদের স্থান হয়েছে। নিখোঁজ ও মৃত নেতাদের স্ত্রীদের পাশাপাশি কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতার সন্তানরা। সূত্র মতে, নিখোঁজ ও মৃতদের বিএনপিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই স্ত্রীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। আর নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে নিজেদের উত্তরাধিকার সৃষ্টি করতে সন্তানদের কমিটিতে এনেছেন শীর্ষ নেতারা। জানা যায়, নতুন কমিটিতে ১১৩ নতুন মুখের মধ্যে আছেন যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। তাকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। হুম্মামের চাচা গিয়াস কাদের চৌধুরীও নতুন কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। এ ছাড়া নতুন কমিটিতে সদস্য পদে এসেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফের ছোট ছেলে খন্দকার ড. মারুফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে নিপুণ রায় চৌধুরী। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়, নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, দুর্ঘটনায় নিহত সাবেক এমপি হেমায়েত হোসেন আওরঙ্গের স্ত্রী তাহমিনা খান আওরঙ্গ এবং বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আখতার কল্পনাও রয়েছেন নতুন কমিটিতে। এর মধ্যে লুনাকে রাখা হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে। তাহমিনা আওরঙ্গ ও নাসিমা কল্পনাকে সদস্য করা হয়েছে। আফরোজা আব্বাসকে সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং অপর্ণা রায়কে প্রান্তিক ও জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে পদ পেয়েছেন মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই মির্জা খোকন, খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামের ছেলে শাহরিন ইসলাম তুহিন, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর হেলালও। মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ছোট ভাই মির্জা ফয়সাল আমিনও নির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন। তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নানের জামাই ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম।