বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে চাই প্রগতিশীলদের সম্মিলিত প্রতিরোধ

বাদল নূর

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে চাই প্রগতিশীলদের সম্মিলিত প্রতিরোধ

বিমল বিশ্বাস

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য সাম্প্রদায়িক শক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এরাই জঙ্গিবাদের অর্থদাতা। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেছেন, ক্ষমতার লোভে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এই বিএনপি-জামায়াত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। মানুষ হত্যার মতো ভয়ঙ্কর খেলায় নেমেছে। জঙ্গিবাদ এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, পাকিস্তান, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়াসহ কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র। জিহাদের নামে তারা জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আইএস, আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন নামে জঙ্গিবাদ গড়ে তুলছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন ও প্রভাব বিস্তার। এটি নির্মূলে বাম প্রগতিশীল শক্তিসহ দেশের স্বাধীনতার পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রবীণ রাজনীতিক বিমল বিশ্বাস বলেন, বিশ্বের একক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থ উপার্জনের উৎস হচ্ছে অস্ত্র বিক্রি। তারা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তাদের ঘাঁটি তৈরি করতে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তাকারী ও মদদদাতাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পরে দেশের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। জঙ্গি দমনে নজরদারি ও জনগণকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রাণিত করতে হবে। এ ছাড়াও যেসব সমস্যার কারণে জঙ্গিবাদের উত্পত্তি হয় সেগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অর্থের বিনিময়ে জিহাদের নামে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি জনগণের সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ কখনো ধর্মীয় জঙ্গিবাদ, কখনো বর্ণবাদী জঙ্গিবাদ, কখনো বিভিন্ন দলের ও গোষ্ঠীর বিষয়বাদী জঙ্গিবাদ। সব ধরনের জঙ্গিবাদই মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর শিকার নিরস্ত্র-নিরীহ সাধারণ মানুষ। বিমল বিশ্বাস বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে যুবকদের মানুষ হত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ ইসলামে নিরীহ মানুষ হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ। তিনি বলেন, মানসিকতা বিকৃত করে জঙ্গিদের প্ররোচনা দেওয়া হয়, ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে কতল করতে হবে। জঙ্গি সৃষ্টিকারীরা তাদের কার্যক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল বেছে নিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনে যুবকদের রিক্রুট করতে দক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গি সৃষ্টিতে অর্থনৈতিক জোগান দেওয়ার জন্য এরা বিভিন্ন ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। তাই, জঙ্গি দমনের জন্য জঙ্গি উৎপাদকের উৎসমূল চিনে নিয়ে সেখানে আঘাত হানতে হবে।

সর্বশেষ খবর