বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিক্ষক লাঞ্ছনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জে স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবোসে বাধ্য করার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। তদন্ত শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ১৩ মে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কল্যাণদী এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে জনতার সামনে কান ধরে উঠবোস করতে বাধ্য করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। ওই ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয়  দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এলে ১৮ মে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। সম্প্রতি স্থানীয় পুলিশ তদন্ত করে আদালতকে জানিয়েছে, ওই ঘটনায় এমপি সেলিম ওসমানের দোষ পাওয়া যায়নি। শিক্ষককে কান ধরে উঠবোস করানোর ঘটনাটি ছিল আকস্মিক। শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান উভয়ই উদ্ভূত পরিস্থিতির শিকার। এরপর আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এ মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে আদালতকে জানায়, জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিম শ্যামল কান্তির সঙ্গে যোগাযোগই করেননি। আসকের পক্ষ থেকে আদালতে এ বিষয়ের বিচার বিভাগীয় তদন্তের আরজি জানানো হয়। আসকের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। ৬ নভেম্বর বিষয়টি আবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।

সর্বশেষ খবর