শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠত সীমান্ত এলাকা

সাঈদুর রহমান রিমন

গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠত সীমান্ত এলাকা

সাল ১৯৭৬। পজিশন নিয়ে শত্রুর প্রতীক্ষায় এক কমান্ডার ছবি : সংগৃহীত

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় শুরু হয় প্রতিরোধযুদ্ধ। সারা দেশে কারফিউ, সেনা তত্পরতার মুখে যখন টুঁ শব্দটি করার উপায় ছিল না, তখনই অস্ত্র হাতে গর্জে ওঠে একদল দামাল যোদ্ধা। তারা বিশ্বকে জানান দেয়, জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে বিপথগামী সেনারা স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের অনুসারী বানাতে চায়। যোদ্ধারা অস্ত্র হাতে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে কাঁপিয়ে তোলেন সীমান্তবর্তী জনপদ।

গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠত সীমান্ত এলাকা। প্রতিবাদী যুবকরা দলে দলে সমবেত হন ভারতের আসাম ও মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড় আর দুর্গম বনাঞ্চলে। প্রথম দিকে গজারির ডাল কেটে বিশেষ কায়দায় বানানো লাঠিই ছিল তাদের সম্বল। সঙ্গে ছিল অদম্য মনোবল। জাতির পিতাকে হারানোর শোকে মুহ্যমান একেকজন বীর যোদ্ধা জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন গেরিলাযুদ্ধে। তারা টহল পুলিশ ও বিডিআরের ওপর বিচ্ছিন্ন হামলা পরিচালনার মাধ্যমে কবজা করতে থাকেন আগ্নেয়াস্ত্র। তা দিয়েই শুরু করেন প্রতিরোধযুদ্ধের প্রাথমিক যাত্রা। পঁচাত্তরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাত্র চার মাসের মধ্যেই প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠেন প্রতিরোধযোদ্ধারা। পরে ভারতের সহযোগিতায় তারা সক্ষম হন প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র পেতে। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুধুই প্রতীকী মেজাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রতিরোধযোদ্ধারা গারো পাহাড়ঘেঁষা ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা জেলা সীমান্তের বিশাল এলাকাজুড়ে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হন। তারা সশস্ত্র আক্রমণের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী বিডিআর ক্যাম্প ও থানাসমূহ দখল করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন প্রায় ৩০০ বর্গমাইল এলাকা। মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে। প্রশিক্ষিত সেনাদলের হেলিকপ্টার, গানশিপ আর সাঁজোয়া বহরের বিপরীতে এমএমজি, মর্টার, এসএলআর নিয়ে তারা চালিয়ে যান লড়াই। একবার সেনাবাহিনী হটেছে তো অন্যবার পিছিয়ে গেছেন প্রতিরোধযোদ্ধারা। যুদ্ধকালে শুধু দুর্গাপুর-কলমাকান্দা সীমান্তবর্তী জনপদে অন্তত নয়জন প্রতিরোধযোদ্ধা ও পাঁচজন বিডিআর-পুলিশ নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি। ক্রসফায়ারে মারা যান তিন সাধারণ গ্রামবাসী। পাবনার নিশ্চিন্তপুরে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে প্রতিরোধযোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘটিত হয় হেলিকপ্টার-যুদ্ধ। ’৭৫ সালের ১২ অক্টোবর প্রতিরোধযোদ্ধারা ওই চরে অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল হেলিকপ্টার ও জলপথ ঘিরে শুরু করে ব্যাপক গোলাগুলি। প্রতিরোধযোদ্ধাদের পাল্টা প্রতিরোধে বেশ কিছু সেনাসদস্য নিহত হলে হেলিকপ্টার-দল পিছু হটে। এ সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে জলপথে যাওয়া সেনাদলটিও দ্রুত পিছু হটে টাঙ্গাইলের দিকে। দুই দিনের এ ভয়াবহ তাণ্ডবে শহীদ হন প্রতিরোধযুদ্ধের অন্যতম কমান্ডার বগুড়ার আবদুল খালেক খসরুসহ অন্তত চারজন। এ সময় দাফন করা সম্ভব হয়নি বলে খসরুসহ শহীদ যোদ্ধাদের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় যমুনার স্রোতে। এভাবে প্রায় দুই বছর যুদ্ধ চালিয়ে প্রতিরোধযোদ্ধারা টিকে থাকেন বীরত্বের সঙ্গে। একদিকে আন্তর্জাতিক সাহায্য ও সমর্থনের অভাব, অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সম্পৃক্ততাহীনতার মুখে প্রতিরোধযুদ্ধ থেমে যায় অসমাপ্ত অবস্থায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিরোধযুদ্ধ ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে স্থায়ী হয় ’৭৭ সালের জুলাই পর্যন্ত। তবে প্রতিরোধযুদ্ধের সেক্টর হেডকোয়ার্টার ও সাব-সেক্টরগুলোয় অবস্থান নেওয়া যোদ্ধাদের শেষ দলটি অস্ত্র ত্যাগ করে ’৭৮ সালের এপ্রিলে। যুদ্ধকালে ১০৪ জন প্রতিরোধযোদ্ধা ও ১৪ জন বিডিআর-পুলিশ নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন উভয় পক্ষের সহস্রাধিক ব্যক্তি। ক্রসফায়ারে মারা যান তিনজন সাধারণ গ্রামবাসী।

প্রধান দফতর চান্দুভুঁই : মেঘালয় সীমান্তের অভ্যন্তরে ঘন বনাঞ্চল ঘেরা আরও দুর্গম এলাকা চান্দুভুঁইয়ে গড়ে ওঠে প্রতিরোধযোদ্ধাদের প্রধান দফতর। সেখানে চিফ কমান্ডিং অফিসার হিসেবে পুরো প্রতিরোধযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সেখানে চিফ ফাইন্যান্সার ছিলেন দুর্গাপুর ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার গারো আদিবাসী চিত্তরঞ্জন সাংমা। আর কামারখালী এলাকার অধিবাসী আবদুল হক ছিলেন প্রধান রিক্রুটিং অফিসার।

মেঘালয়ের তুরা জেলার চান্দুভুঁই এলাকাটি ছিল সারি সারি সুউচ্চ পাহাড়ঘেরা জনবসতিশূন্য ফাঁকা স্থান। সেখানে পাহাড়চূড়া আর ঢালে ঢালে শ’ তিনেক শণের ঘর তুলে বানানো হয় প্রতিরোধযুদ্ধের হেডকোয়ার্টার। কাদের সিদ্দিকী অবস্থান করতেন সেখানেই। শুরুতে মাত্র পাঁচ-ছয় শ’ লোকের আনাগোনা দেখা গেলেও ’৭৬ সালের মাঝামাঝি সেখানে ৮-১০ হাজার লোকের বিচরণ দেখা গেছে। এর পরও ছিল প্রতিরোধযোদ্ধাদের আগমন ঢল। কিন্তু সবাইকে যোদ্ধা হিসেবে যেমন তালিকাভুক্ত করা সম্ভব ছিল না, তেমনি ছিল না তাদের আশ্রয় দেওয়ার উপায়। কারণ অর্থ, খাদ্য, আশ্রয়, অস্ত্র— সবই ছিল সীমিত।

সেক্টর হেডকোয়ার্টার ভবানীপুর : কাদের সিদ্দিকীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে যুদ্ধের জন্য সেক্টর হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয় নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার ভবানীপুর এলাকায়। ছিটমহল স্টাইলের পাহাড়ি উপত্যকা ভবানীপুরের যে স্থানটিতে সেক্টর হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয়, সেখানে যাতায়াত করা ছিল প্রায় দুঃসাধ্য। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ভবানীপুরের ২০-২২ একর আয়তনের ওই ছিটমহলটুকুতে ভারতের সীমানা ডিঙিয়ে তবেই যেতে হতো। ফলে দেশের ভিতর থেকেও বাংলাদেশের সেনা, বিডিআর, পুলিশসহ অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থার প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল প্রতিরোধযোদ্ধাদের হেডকোয়ার্টার এলাকা। সেক্টরের জিওসি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন টাঙ্গাইলের বাসিন্দা সেলিম তালুকদার। এখানে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন প্রশান্ত কুমার সরকার। কোয়ার্টার গার্ডের অধিনায়ক ছিলেন শরীফুল ইসলাম খান (ধামরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান)। ডিফেন্স কমান্ডার হিসেবে ঘাঁটি করা হয় সোমেশ্বরী নদীঘেঁষা সুউচ্চ পাহাড়চূড়ায় (বর্তমানে বিজিবির ভবানীপুর বিওপি)। এর দায়িত্বে ছিলেন সাইদুর রহমান, যিনি এলাকায় মহারাজ হিসেবে পরিচিত।

সাব-সেক্টর ও কমান্ডার : এ হেডকোয়ার্টারের আওতায় বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টর গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরেই দুর্গম পাহাড় আর অরণ্যে। এগুলো হচ্ছে— নেত্রকোনা-সুনামগঞ্জ জেলা সীমান্তবর্তী বেতগড়া (কমান্ডার সুকুমার সরকার), কলমাকান্দা থানা এলাকায় রংরা (কমান্ডার জিতেন্দ্র ভৌমিক— তিনি একাধারে রিক্রুটিং অফিসার, প্রধান প্রশিক্ষক ও ক্যাম্প কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন), দুর্গাপুর থানা এলাকায় ভবানীপুর (কমান্ডার প্রশান্ত কুমার সরকার— বিল্লাবিন), নেলুয়াগিরি (কমান্ডার সুনীল অধিকারী), ধোবাউড়া থানার দাবরাং (কমান্ডার দীপংকর তালুকদার), হালুয়াঘাট থানার গোবরাকুড়া (কমান্ডার অতুল সরকার), ঝিনাইগাতী থানা এলাকার উত্তর গজনী। এসব সাব-সেক্টরের আওতায় ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি ক্যাম্প ছিল প্রতিরোধযোদ্ধাদের।

একাত্তরের যোদ্ধারা পঁচাত্তরের প্রতিরোধে : একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের পরাস্ত করে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে অস্ত্রহাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাদের অনেকে। মাত্র চার বছরের ব্যবধানে পঁচাত্তরেই দেশি বাহিনীর বুলেটের টার্গেটে পরিণত হন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। প্রতিরোধযুদ্ধের মূল নেতৃত্বে থাকা কাদের সিদ্দিকী জানান, ১৯৭৫ থেকে ’৭৭ পর্যন্ত চলমান ওই প্রতিরোধযুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন ১০৪ জন বীর যোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে তার হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের মৌলভি সৈয়দ, গাইবান্ধার মুন্না, দুলাল দে বিপ্লব, বগুড়ার সারিয়াকান্দির আবদুল খালেক খসরু, সাখাওয়াত হোসেন মান্নান, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, আলী আজম আলমগীর, নজিবর রহমান নিহার, রেজাউল করিম, ফনেস সাংমা, অ্যালসিন মারাক, সুধীন মারাকরা অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের জীবন। প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেওয়া জাতীয় মুক্তিবাহিনী ’৭৫ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান যুগল হাশমী জানান, ৮৩ জন শহীদ প্রতিরোধযোদ্ধার নাম তাদের কাছে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে পঁচাত্তরের প্রতিরোধযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী ৯১ জন বীর যোদ্ধার নাম-ঠিকানা। রয়েছে প্রতিরোধযুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ তিন শতাধিক আহত ব্যক্তির তালিকা। প্রতিরোধযুদ্ধে আহত হন কয়েকশ’ বীর যোদ্ধা। গুলিবিদ্ধ শাহ মুস্তাইন বিল্লাহ, ফারুক আহমদ, মো. আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক, গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল, ইসাহাক মারাক, মার্তুস সাংমা, অতুল সাংমা, জিতেন্দ্র ভৌমিক, সুকুমার চন্দ্র, শেখর হাগিদক, কমান্ডার আবদুল হক, কমান্ডার দুলাল চন্দ্র সাহা, সত্যেন চন্দ্র, প্রমোদ, অমল চন্দ্র, বাবুল হক, বিজন মৃ, বিজয় রিছিল, শেলেসটিন রুগা, সাধন পালদের খোঁজও নেয়নি কেউ। পরবর্তী সময়ে খোঁজ মেলেনি ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক আটক ও পুশব্যাক হয়ে আসা অনেক যোদ্ধা-কমান্ডারের। আবার কয়েক শ’ যোদ্ধার ঠাঁই হয় সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রের বন্দীশালায়। কেউ কেউ নিরুদ্দেশ হয়ে যান আসাম-মেঘালয়ের ভিতর। যারা আহত অবস্থায় বেঁচে আছেন তাদের জীবন কাটছে ধুঁকে ধুঁকে। কিন্তু এসব প্রতিরোধযোদ্ধার বিষয়ে দলীয় বা সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কখনো। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদস্বরূপ সশস্ত্র সংগ্রামের অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় কারাগারে বন্দী থাকতে হয় আরও অন্তত ৮১ জনকে।

শহীদ হলেন যারা : বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই সশস্ত্র আন্দোলনে জীবন দেন শতাধিক যোদ্ধা। এদের ৯১ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন বগুড়ার আবদুুল খালেক খসরু ও নজিবুর রহমান নিহার, গাইবান্ধার ইবনে সাউদ, রেজাউল করিম, মিজানুল হক মুকুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুর রাজ্জাক, আলী আযম আলমগীর, মো. বাবুল, মো. সোলায়মান ও আবদুর রহিম আজাদ, কুড়িগ্রামের রেজাউল করিম-২, নূরুল ইসলাম ও নূরুল আমিন, নেত্রকোনার আবদুল খালেক, রাধারমণ রায় ঝন্টু, বামুন সরকার, রজব আলী, আবুল কাশেম, হামিদুল ইসলাম, ফজর আলী, শান্তিবিকাশ সাহা পল্টু, আবদুল হেকিম, মুসলিম উদ্দিন তালুকদার ও সুব্রত, টাঙ্গাইলের সাখাওয়াত হোসেন মান্নান ও সৈয়দ নূরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের মৌলভি সৈয়দ আহমেদ, কুমিল্লার সুশীল ভৌমিক বেলু, সুনামগঞ্জের নিরানন্দ দাশ, মতিলাল দাশ, আখলমন মাঝি ও বলরাম সরকার, শেরপুরের বিপ্লব কুমার দে দুলাল, দুলাল মিয়া, মনোরঞ্জন সরকার, হাবিবুর রহমান, বীরেন্দ্র চন্দ্র পাল, কছর আলী, আলী হোসেন, শওকত আলী, মোতালেব, ধীরেন্দ্র চন্দ্র শীল, রুস্তম আলী ও মোজাম্মেল হক, জামালপুরের নজরুল ইসলাম ও আলতাফুর রহমান, ময়মনসিংহের আবদুল হামিদ, আবদুল আজিজ, সুশীল চন্দ্র দত্ত, রঞ্জিত কুমার, মজিবুর রহমান খান, সুবোধ চন্দ্র ধর, আলকাস উদ্দিন সরকার, দীপাল চন্দ্র দাশ, জোবেদ আলী ও সিরাজুল ইসলাম। শহীদদের ২৫ জন আদিবাসী। এরা হচ্ছেন— শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রঞ্জিত সাংমা, অনন্ত বর্মণ, জয়েশ্বর বর্মণ, সপ্রু সাংমা, কাশেম সাংমা, নিরঞ্জন সাংমা, পিটারসন সাংমা, প্রাণবল্লভ বর্মণ, প্রটিন দিও, শ্রীদাম রিছিল ও চিত্তরঞ্জন ডালু, শ্রীবর্দী উপজেলার সম্রাট সাংমা, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ফনেস সাংমা, তপন চাম্বুগং, অ্যালিসন মারাক, গোবিনিক মারাক, সুদর্শন মানকিন, হারু সাংমা, হযরত সাংমা, জবিনাশ তেলসী, অগাস্টিন চিছিম, সুধীন কুবি ও ডমিনিক চাম্বুগং, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার হেনরি সাংমা এবং ধোবাউড়া উপজেলার পংকজ আজিম।

সর্বশেষ খবর