রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

রান্নায় গ্যাস ব্যবহার একেবারেই অপচয়

-------------অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রান্নায় গ্যাস ব্যবহার একেবারেই অপচয়

গৃহস্থালি কাজে, বিশেষ করে রান্নায় গ্যাস ব্যবহারে নতুন করে আর সুযোগ দেওয়া হবে না। এতে গ্যাসের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে। আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্যই গৃহস্থালি কাজে গ্যাস ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। গতকাল রাজধানীর  কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা সেন্টারে ‘জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এতে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, বিপিসির চেয়ারম্যান মাহবুব রেজা খান ও  পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক হারুন-অর-রশিদ খান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার গৃহকাজে গ্যাস ব্যবহারের ধারা থেকে বেরিয়ে আসছে। গ্যাস এত মূল্যবান সম্পদ যে, এটা দিয়ে ভাত-তরকারি রান্নার কোনো অর্থ হয় না। এরই মধ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গৃহস্থালিতে গ্যাস ব্যবহার নিরুৎসাহিত করছে। বাসা-বাড়িতে পাইপলাইনের গ্যাস সংযোগ আর না দেওয়ার পাশাপাশি সিলিন্ডারে এলপিজি আমদানি উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ নিয়ে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না। আমরা ভেবেছিলাম দেশে প্রচুর গ্যাস আছে। তাই বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করেছিলাম। এখন দেখছি, গ্যাস যা আছে তা একেবারেই যৎসামান্য। এটা আমাদের নিজেদের বোঝা উচিত, অন্যদেরও বোঝানো উচিত, রান্নায় গ্যাসের ব্যবহার চলবে না।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগামী দিনের জ্বালানির জন্য এলএনজি, এলপিজি ও কয়লাকে ঘিরে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর দুই-এক বছরের মধ্যেই জ্বালানি খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে বলে জানান। তিনি বলেন, সামনে আমাদের ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এত বিশাল বিনিয়োগ হ্যান্ডেলিং করার মতো দক্ষ জনবলের সংকট রয়েছে। নসরুল হামিদ বলেন, পরিবেশবান্ধব আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০৪১ সালে আমাদের কোথায় কী ধরনের জ্বালানি লাগবে তা উৎসসহ নিরূপণ করেছি। সে অনুযায়ী পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। দক্ষ জনশক্তি ও চাহিদামতো অর্থ চ্যালেঞ্জ হলেও বড় কোনো বাধা না।

সর্বশেষ খবর