শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

সেক্টর কমান্ডাররা কাপুরুষ, খেতাব প্রত্যাহার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেক্টর কমান্ডাররা কাপুরুষ, খেতাব প্রত্যাহার করুন

নূরে আলম সিদ্দিকী

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী-গণবাহিনী ও বামদ্বারা পরিবেষ্টিত। এরা সরকারকে রাহুগ্রাসের মতো আঁকড়ে ধরেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে তিনি সেদিন সমর্থন করবেন, যেদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণবাহিনী-বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও বামদ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবেন না। যেদিন প্রকৃত আওয়ামী লীগ দিয়ে দল গঠন করা হবে সেদিন তিনি এদের সমর্থন করবেন। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতে তৎকালীন মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহকে (অব.) বঙ্গবন্ধু তিনবার ফোন করেছিলেন। তখন সফিউল্লাহ বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি। এখন তিনি বলেন, আমার হাত-পা বাঁধা ছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেক্টর কমান্ডার ও রক্ষীবাহিনীকে ফোন করেছিলেন। সেদিন কেউ বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে আসেনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই— সেক্টর কমান্ডাররা কাপুরুষ, এদের খেতাব প্রত্যাহার করুন। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণ দিচ্ছিলেন। সংগঠনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা দেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ। নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন আজ তাদের দ্বারা সরকার পরিচালিত হচ্ছে নাকি আওয়ামী লীগ সরকার চালাচ্ছে তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। আজ যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিকে ঘুরঘুর করছেন, সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে আসেননি। সাবেক ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, এইচ টি ইমাম সব সরকারের সময় সুবিধা নিয়েছেন। তার গায়ে রাজনীতির কোনো গন্ধ নেই, অথচ তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন ভীতু লোক। তিনি এরশাদের অর্থমন্ত্রী ছিলেন, আবার বর্তমান সরকারেরও অর্থমন্ত্রী। তিনি যদি শেয়ার কেলেঙ্কারির তালিকা প্রকাশ করতেন, তাহলে পরবর্তীতে হলমার্ক ও বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি হতো না। মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, আমরা যখন ছাত্রলীগ করেছি তখন ছাত্রলীগের নাম শুনলে মানুষ তাদের দেখতে আসত আর এখন ছাত্রলীগ দেখলে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। তিনি বলেন, জাতীয় দুর্যোগ সামনে অনিবার্য। সেদিন আওয়ামী লীগের রক্ষা হবে না।

সর্বশেষ খবর