রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাজেটের টাকা সুবিধাভোগীদের পকেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেটের টাকা সুবিধাভোগীদের পকেটে

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, ২০ বছর আগে এবং বর্তমানে বাজেটে উন্নয়ন খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয় তার পার্থক্য খুব সামান্য। কিন্তু সে তুলনায় উন্নয়ন কোথায়? এর বেশিরভাগ টাকাই চলে গেছে সুবিধাভোগীদের পকেটে। মন্ত্রী বলেন, দুনিয়ার যত চিটগুলো বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে এসে হাজির হয়েছে। বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন এটাই সত্যি। গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা মহানগরীর ওপর প্রভাব এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢাকায় অভিগমন ও জীবন ধারণ’ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীর আহমাদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জ্ঞান রঞ্জন শীল। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, খুলনায় একটি পানি শোধনাগার স্থাপন বাস্তবায়ন করছি। মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তবে দুনিয়ার যত চিট আমার মন্ত্রণালয়ে এখন সমবেত হয়েছে। আজকেও একজনের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছি। এক কর্মকর্তাকে বলেছি— আমি স্বাক্ষর করব না, আপনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান। মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আপনি যখনই অন্যের অর্থে কাজ করতে যাবেন, তখন তাদের বিশেষজ্ঞরা আসবেন। তাদের কথা অনুযায়ী কাগজে স্বাক্ষর দিতে হবে। যে টাকা বরাদ্দ আসে তার বেশির ভাগ খরচ হয়ে যায় পরামর্শে।

বনমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বৈশ্বিক সভায় আমাদেরকে বলা হয়, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে তোমার দেশ পানির নিচে চলে যাবে। আমি জিজ্ঞাসা করি— আমার দেশ যাবে, তোমার দেশ কি যাবে না? ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি কি পানির তলে যাবে না? প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশগুলোও তো তলিয়ে যাবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে শহরে উচ্চবিত্তদের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শত কোটি টাকা খরচ করে ফোয়ারা করা হয়। অথচ এ বরাদ্দ ভাগ করে দেওয়া হলে প্রতিটি উপজেলায় অন্তত পাকা রাস্তা করা সম্ভব হতো।

সর্বশেষ খবর