বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
পরিদর্শনকালে কমিশন চেয়ারম্যান

মানবাধিকার লঙ্ঘিত নতুন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের মানবাধিকার এখনো লঙ্ঘন হচ্ছে। তাদের অধিকারগুলো পুরোপুরি দেওয়া হয়নি। এখানে তারা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না। পানি পাচ্ছেন না। নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ নেই। বিদ্যুৎ-গ্যাসের সমস্যা আছে। তিনি বলেন, এত টাকা খরচ করা হলো অথচ ভেল্যু অব মানি পেলাম না। আদালত থেকে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে দোষী বলা যাবে না। তারা রাষ্ট্রীয় মেহমান। গতকাল বিকালে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে এসে পৌঁছলে তাকে গার্ড অব অনার দেন কারারক্ষীরা। বেলা ৩টায় তিনি কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করেন বন্দীদের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটানোর পর বেরিয়ে এসে সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এ সময় কাজী রিয়াজুল হক বলেন, আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার প্রকাশিত রিপোর্টের আলোকে এখানে পরিদর্শনে এসেছি। নাজিমুদ্দীন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারটি ছিল প্রায় সোয়া দুইশ বছরের পুরনো। সেখান থেকে এখানে কারাগারটি স্থানান্তর করাতে আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম। নতুন এই কারাগারটিতে বর্তমানে সাড়ে সাত হাজারের মতো বন্দী আছে। যাদের আমরা রাষ্ট্রীয় মেহমান বলছি। কিন্তু এর ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সাড়ে চার হাজার মানুষের। বন্দীদের মধ্যে পাঁচ হাজারের মতো রয়েছে হাজতি। আর দুই হাজারের মতো রয়েছে যাদের আদালত থেকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারগুলোতে দেখা গেছে সেখানে হাজতিরা গাদাগাদি বাস করে। নতুন এই কারাগারটি নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। আর মাত্র ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করলে এর ধারণ ক্ষমতা আরও বাড়ানো যেত। শুরু থেকেই কারাগারটি নির্মাণের পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। দেখা করার জায়গাটিও ঠিকমতো নির্মাণ করা হয়নি। বন্দীদের স্বজনরা তাদের দেখা করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ভিতরে গিয়ে বন্দীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। তাদের একটি অভিযোগ ছিল যে— তারা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না। এখানে যে পরিমাণ বন্দী আছে তাদের মাথা গুনে বাজেট দেওয়া হয়। তবুও কেন তারা ঠিকমতো খাবার পাবে না। তাদের যেটা প্রাপ্য সেটা দিতে হবে। বরাদ্দ অনুযায়ী যেন খাবার দেওয়া হয়। এর ব্যত্যয় হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ খবর