শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
এপির প্রতিবেদন

ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছিলেন ড. ইউনূস

প্রতিদিন ডেস্ক

হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত কারণে দেখা করা এবং নিজে বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামও রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘটনাপঞ্জির বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এ তথ্য জানিয়েছে।

এপির তথ্য অনুযায়ী, হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ড. ইউনূস তার সঙ্গে তিনবার দেখা করেছেন এবং কয়েকবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগে বাংলাদেশ সরকার চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে তিনি হিলারির সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চেয়েছিলেন। আর হিলারি তাকে সাহায্য করার পথ খুঁজে বের করতে সহকারীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এপি বলছে, এ সময় গ্রামীণ আমেরিকা (যার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন ড. ইউনূস) ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। গ্রামীণ রিসার্চ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান (এরও চেয়ারম্যান ড. ইউনূস) থেকেও ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংকের মুখপাত্র বেকি অ্যাশ অর্থ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলছেন, ওই ফাউন্ডেশনের ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ সম্মেলনে অংশগ্রহণের ফি হিসেবেই ওই অর্থ দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দায়িত্ব পালনকালে ব্যক্তিগত কারণে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে দেখা করা বা ফোনে আলাপ করা ১৫৪ ব্যক্তির মধ্যে ৮৫ জনই তাদের পারিবারিক ওই ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন। তাদের মোট অনুদানের পরিমাণ ১৫ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এপি বলছে, হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে যারা সরাসরি বা ফোনে ব্যক্তিগত কারণে আলাপ করেছেন আর যারা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন, তাদের মধ্যে দৃশ্যত একটি যোগসূত্র রয়েছে। এর ফলে মার্কিন কোনো আইন ভঙ্গ হয়নি। কিন্তু বিষয়টির মধ্যে এমন একটি ইঙ্গিত রয়েছে যে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সাক্ষাতের বিনিময়েই যেন তারা ওই অনুদান দিয়েছেন। তবে হিলারি ক্লিনটনের মুখপাত্র ব্রায়ান ফ্যালোন এপির এ বিশ্লেষণকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, হিলারি ক্লিনটনের বৈঠকগুলোকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তাকে একপক্ষীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনের প্রথম অর্ধেকটা সময় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পুরো সময়টা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ইস্যুতে হিলারিকে চাপে ফেলতে চাইছে। নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনেকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে অর্থ দিয়েছেন— এ অভিযোগ তুলে ট্রাম্প এ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।

সর্বশেষ খবর