শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে গর্বিত হিলারি

প্রতিদিন ডেস্ক

ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে গর্বিত হিলারি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের জন্য অর্থসহায়তা নিয়ে মুখ খুলেছেন হিলারি ক্লিনটন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে রিপোর্ট সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বলেছেন, ‘অনেকে এমনটি বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, ওয়াইজেল, মেলিন্ডা গেটস কিংবা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করেছিলাম কেবল অর্থসহায়তা নেওয়ার জন্য, বিশ্বের অত্যন্ত সম্মানিত নেতা কিংবা ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়। এসব কথা হাস্যকর। বরং এসব ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমার স্থলে যে কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে গর্ববোধ করতেন। তাদের কাজ এবং পরিজ্ঞানের কথা শুনতেন। আমি আশা করব মানুষ আমার কাজের মূল্যায়ন করবে এবং আমার ওপর আস্থা রাখবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে হিলারি এসব কথা বলেছেন। খবর এপি ও সিএনএনের। ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে বিদেশি সরকার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা অর্থ জোগান দিয়েছেন পরবর্তীতে কিছু পাওয়ার আশায়। এই ফাউন্ডেশনের শেষ কোথায় আর শুরু কোথায় তা কেউ বলতে পারবে না। এই দাতব্য ফাউন্ডেশন বন্ধ করে দিতে ক্লিনটন দম্পতির প্রতি তিনি আহ্বানও জানান। তিনি একে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। হিলারি বলেন, ‘ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন তা হাস্যকর। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে আমি ব্যক্তিগত স্বার্থে কখনো সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করিনি। দেশের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হবে আমি তাই করেছি।’ তিনি বলেন, ‘ক্লিনটন ফাউন্ডেশন নিয়ে যত বেশি বিতর্ক তোলা হয় আসলে এই প্রতিষ্ঠান তত বেশি বিতর্কিত নয়। দূর থেকে অনেক ধোঁয়া দেখা গেলেও কাছে গেলে আপনি আগুনের দেখা পাবেন না!’ প্রসঙ্গত, হিলারির স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেছেন, হিলারি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তবে তিনি কেবল মার্কিন নাগরিক কিংবা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থসহায়তা নেবেন এবং বোর্ড থেকে পদত্যাগ করবেন। এই ফাউন্ডেশনের জন্য তিনি আর কোনো অবদান রাখবেন না বলেও উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, বিল কিনটন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ করার পর ২০০১ সালে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত এর তহবিল দাঁড়িয়েছে ২০০ কোটি ডলারে।

সর্বশেষ খবর