বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ছিল; এখনো আছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান নানা সমস্যা সমাধান করেছি। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই বললেই চলে।’ গতকাল বিকালে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতকেও পেছনে ফেলেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না সুন্দরবন নষ্ট হোক। সবকিছু বিবেচনা করেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির জন্য পরশ পাথর। তার ছোঁয়ায় নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে যুদ্ধ করেছে, দেশ স্বাধীন করেছে। তিনি সপরিবারে তার জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন—ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৪ বছর পর জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান করেছে। এটি অত্যন্ত লজ্জার। যে মানুষটি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে সেই মানুষকে স্মরণ করতে আমরা যদি একটি অনুষ্ঠান করতে না পারি তাহলে তা মেনে নেওয়া যায় না।’ তিনি বলেন, ‘একটি প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। আমি যখন ভাইভা বোর্ডে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম বলতে বলি তখন অনেক তরুণই উত্তর দিতে পারে না। এটি অত্যন্ত হতাশার।’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা তার নাম-নিশানা দেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাইয়ুম রেজা চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কত বড় মাপের নেতা ছিলেন তা বলে শেষ করা যাবে না। এই মহান নেতার সুযোগ্য নেতৃত্বই আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে।’ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সবুর খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ও বড় মাপের নেতা এই দেশে আর হয়নি এবং হবেও না। এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সমিতির সাবেক সভাপতি শফি সামী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে; তার পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মাধ্যমে তা দূর করতে হবে।