শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আরও দুই মন্ত্রীকে গুলি করে মারলেন কিম

প্রতিদিন ডেস্ক

আবারও আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ক্রোধ, উত্তেজনা আর খামখেয়ালির নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন উত্তর কোরিয়ার এই শাসক। তাই ‘বেয়াদবি’র অভিযোগে এবার অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গানের ডগায় হাত-পা বেঁধে দুই মন্ত্রীকে উড়িয়ে দেওয়ার হুকুম দিলেন তিনি। যেই হুকুম সেই কাজ হলো। একদা তার দুই অনুগামীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দিলেন ৩৪ বছরের কিম। তাদের অপরাধ, তারা কোনো একটি বৈঠকে নেতা কিমকে ঠিকঠাক অভিবাদন জানাননি এবং ‘যথেষ্ট সম্মান ও আনুগত্য’ দেখাননি। ‘সন্তোষজনক আনুগত্য’ না দেখানোয় দুই মন্ত্রীই ‘বিদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক’ বলে সন্দেহ দেখা দেয় কিমের মনে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানো হয় তাদের। তবে এরা কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন সে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিছু জানায়নি। এর আগে গত পরশু এক সংবাদে বলা হয় দেশটির শিক্ষামন্ত্রীকে হত্যা করেছেন কিম। তার অপরাধ তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তবে নতুন এসব মৃত্যুদণ্ডের কায়দাটা একটু অভিনব। বিমান বিধ্বংসী কামান বা অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গানের সামনে রেখে টুকরা টুকরা করে দেওয়া হলো একদা বিশ্বস্ত দুই কমরেডকে। ২০১১ সালে বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর নিজের হাতে উত্তর কোরিয়ার শাসন ক্ষমতা হাতে তুলে নেন কিম জং উন। তিনি কতটা মরিয়া এর আগে তিনি প্রমাণ দিয়েছেন। ক্ষমতা সমুন্নত রাখতে নিজের ফুফাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একের পর এক পরমাণু পরীক্ষা, হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা ও দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা চালিয়ে তিনি দুনিয়ার কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াকে পরমাণু হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন কিম। সংবাদ প্রতিদিন।

সর্বশেষ খবর