শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রিশা হত্যা নিয়ে ওবায়দুল

হাতিরপুল থেকে কিনেছি ছুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা খুনে ব্যবহূত ছুরিটি হাতিরপুল এলাকা থেকে কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছে আসামি ওবায়েদুল হক। একই সঙ্গে খুনের ঘটনায় সে একাই অংশ নিয়েছিল।

গতকাল ওবায়েদের রিমান্ডের প্রথম দিনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা আরও জানান, ঘটনার দিন অনেক আগে থেকে স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে ওঁৎ পেতেছিল ওবায়েদ। যখনই রিশা স্কুল থেকে বের হয় তখনই তার ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় ওবায়েদ। গত ২৪ আগস্ট পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় রিশাকে স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাত্ক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২৮ আগস্ট সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার মা তানিয়া হোসেন রমনা থানায় এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়েদকে আসামি করে একটি মামলা করেন। রিশার মৃত্যুর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। খুনিকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে আল্টিমেটামও দিয়েছিল তারা। পুলিশের প্রতিশ্রুতির প্রায় শেষ সময়ে গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজারে ধরা পড়ে ওবায়েদ। গ্রেফতারের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিশার মা তানিয়া হোসেন জানিয়েছিলেন, মেয়েকে তো আর ফিরে পাব না। এখন আমরা আসামির দ্রুত বিচার দাবি করছি। বাবা রমজান হোসেন বলেন, আসামি ধরা পড়েছে এই খবর শুনে মনের কষ্ট কিছুটা হলেও কমেছে। আমিও মেয়ে হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করছি। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত আসামি ওবায়েদকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আসামি ওবায়েদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড? চেয়ে আবেদন করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন। গতকাল তার রিমান্ডের প্রথম দিন ছিল।

সর্বশেষ খবর