বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজশাহীর রাজনীতিতে রিজভীর ফিরে আসা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীর রাজনীতিতে রিজভীর ফিরে আসা

রাজশাহীর রাজনীতিতে এখন নতুন মেরুকরণ রিজভীকে ঘিরে। সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে রিজভীপন্থিদের আধিক্য জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের। তবে রিজভীর এই ফিরে আসাকে জেলা ও নগর নেতারা দলের জন্য ইতিবাচক মনে করছেন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নগর রাজনীতিতে রিজভীপন্থিরা নতুন করে সক্রিয় হচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে মাঝেমধ্যে রাজশাহীতে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন রিজভী আহমেদ। সরবও ছিলেন মাঠের রাজনীতিতে। কিন্তু নগর বিএনপির এক কর্মসূচিতে তাকে ডিম ছুড়ে মারার পর থেকে ছিলেন অনেকটা দূরে। তবে আবারও রাজশাহীর রাজনীতির আলোয় উঠে এসেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। রাজশাহীর রাজনীতিতে রিজভীর এমন ফিরে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু। তিনি জানান, রিজভী আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। দীর্ঘদিন রাজশাহীতে রাজনীতি করেছেন। এখন কেন্দ্রে সক্রিয় আছেন। তিনি রাজশাহীর রাজনীতিতে সময় দিলে তা দলের জন্য উপকারই হবে। বিএনপির সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতেও স্থান হয়েছে রিজভীপন্থিদের। কবীর হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল মনিরকে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা করা হয়েছে। শাহীন শওকত হয়েছেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তাহলে কি অবারও রাজশাহীর রাজনীতিতে ফিরতে চাইছেন রিজভী— এমন প্রশ্ন এখন দলের নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। রাজশাহীর রাজনীতির আলোয় রিজভী আহমেদের ফিরে আসাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা। তিনি জানান, রিজভী আহমেদ রাজশাহীতে নতুন নন। কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে সারা দেশের দলীয় কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রাখতেই পারেন। দলের নেতা হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নও চাইতে পারেন। এতে দোষের কিছু নেই। রিজভী আহমেদ আগেও গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। জেলা বা নগর বিএনপির পক্ষ থেকে তার মুক্তি দাবি করে পোস্টারিং খুব একটা চোখে পড়েনি। কিন্তু এবার চিত্রপট আলাদা। নগরী ছেয়ে ফেলা হয়েছে তার মুক্তি দাবির পোস্টারে। কেউ কেউ বলছেন, আগামী নির্বাচনে সদরে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির এই নেতা। তাতে দোষের কিছু দেখছেন না নগর নেতারাও।

সর্বশেষ খবর