শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
মার্কিন নির্বাচন

প্রার্থীরা জড়াচ্ছেন বাকবিতণ্ডায়

প্রতিদিন ডেস্ক

বেফাঁস মন্তব্যের জন্য সব সময়ই শিরোনামে থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আর সাকুল্যে মাস দুয়েক বাকি। এরমধ্যে গত পরশু মন্তব্য করে বসলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনেক যোগ্য। তবে তার এই মন্তব্যকে ভালোভাবে    নিচ্ছে না মার্কিনিরা। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের চির শত্রু দেশ রাশিয়া। তাদের নেতার সঙ্গে মার্কিন নেতার তুলনাকে তারা ভালোভাবে নিচ্ছে না। বুধবার রাতে এনবিসি টেলিভিশনের ‘কমান্ডার ইন চিফ’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এ কথা বলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ নিজ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর বুধবারই ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন প্রথমবারের মতো একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হন। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দুই প্রার্থীর জন্য আধাঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ ছিল, একজনের সাক্ষাৎকার শেষ হওয়ার পর অপরজনের ডাক পড়ে। তবে টস ভাগ্যে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন প্রথমে সুযোগ পান। সাক্ষাৎকারে ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে সাক্ষাৎকারে চাপের মুখে পড়েন হিলারি। নৌবাহিনীর এক সাবেক কর্মকর্তা তাকে বলেন, তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো করে গোপন তথ্য আদান-প্রদান করতেন তাহলে তাকে কারাগারে যেতে হতো। উত্তরে হিলারি বলেন, ‘আমি তাই করেছি যা আমার করা উচিত ছিল এবং আমি সবকিছু অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছি, আমি সব সময় সিরিয়াস ছিলাম, সবসময় তা থাকব।’ ২০০২ সালে সিনেট ভোটে ইরাক যুদ্ধকে সমর্থন করা তার ‘ভুল’ ছিল বলে সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন হিলারি। অপরদিকে ট্রাম্প তার সাক্ষাৎকারের শুরুতেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করতে থাকেন। তিনি বলেন, পুতিনের পক্ষে ৮২ শতাংশ জনমত। নিজ দেশের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ ব্যাপক।’ সেই তুলনায় ওবামা কিছুই নন। এর আগে পুতিনের প্রশংসা করে তার সঙ্গে জোট গড়ে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার প্রস্তাব করেছিলেন ট্রাম্প। তার এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক অনেক নীতির বিষয়েই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুতর মতভেদ আছে। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর