শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ক্রেতারা উত্ফুল্ল বিক্রেতারা বেজার

কোরবানির হাটে চাহিদা পূরণ দেশি গরুতেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের আগের দিন অর্থাৎ শেষ দিনেও কোরবানির পশুর হাটে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাবেচা হয়েছে। এ সময় কম দামে পশু কিনতে পেরে ক্রেতারা উত্ফুল্ল হলেও বিক্রেতাদের মধ্যে ছিল অসন্তোষ। ঢাকার বেশ কিছু স্থানে ছিল দফায় দফায় বৃষ্টি। অনেক ক্রেতাই ছিলেন শেষ দিনের সুযোগের অপেক্ষায়। সেই সুযোগে কম দামে কোরবানির পশু কিনেছেন তারা। এক ব্যবসায়ী বলেন, খাসির দামে গরু বিক্রি করছি। সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, এবার চাহিদার একটি বড় অংশই পূরণ হয়েছে দেশি গরুতে। রাজধানীর রূপনগরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন ইস্টার্ন হাউজিং থেকে শেষ দিনে কোরবানির গরু কিনেছেন ৯০ হাজার টাকায়। আগের দিনের চেয়ে অন্তত ২০ হাজার টাকা দামে কম পেয়েছেন বলে তার অভিমত। গাবতলীর হাট থেকে ৬০ হাজার টাকায় গরু কিনে অত্যন্ত খুশি মিরপুরের এক নম্বরের বাসিন্দা জালাল আহমেদ।

এদিকে ঢাকার আফতাবনগর গরুর হাটেও দেখা গেছে একই রকম চিত্র। বিক্রেতাদের দাবি, এবার ঢাকায় কোরবানির গরুর দাম ছিল একেবারেই নিম্নমুখী। তিন লাখ টাকার গরু দেড় লাখে বিক্রি হয়েছে। বড় গরুর চাহিদা ছিল কম। তবে তুলনামূলকভাবে ছোট ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। বিক্রেতা সবুর মিয়া জানান, তিনি ৬টি গুরু এনেছিলেন ছোট ও মাঝারি সাইজের যেগুলো ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। খুলনার গরু বেপারি শহিদুল ইসলাম সোমবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, বড় আশা নিয়ে খুলনা থেকে ৩৯টি গরু নিয়ে আসছিলাম। স্বপ্ন এবার পুরোটাই মাটি। খাসির দামে গরু বিক্রি করছি। তারপরও কাস্টমার নেয় না। শহিদুল বেপারির ৩৯টি গরুর মধ্যে ২৮টি বিক্রি হয়েছে। যেগুলো বিক্রি হয়েছে তাতেও ১০ হাজার টাকা করে লোকসানে বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর