সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অক্টোবরেই ওষুধ শিল্পনগরীতে প্লট

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবরেই ওষুধ শিল্পনগরীতে প্লট

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, অক্টোবরের মধ্যেই মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ওষুধ শিল্পনগরী অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্পপার্কে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এপিআই শিল্পপার্কের ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যেই প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্লট বরাদ্দের পরপরই শিল্পনগরীতে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের কারখানা স্থাপন শুরু হবে। এপিআই শিল্পপার্কে উৎপাদন শুরু হলে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল খাতে আমদানি খরচ ৭০ শতাংশ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আওতায় বাস্তবায়নাধীন ওষুধ শিল্পনগরী প্রকল্পের (এপিআই শিল্পপার্ক) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিসিকের চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ওষুধ শিল্পনগরীর কার্যক্রম দ্রুত চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় শিল্পনগরীতে ৪২টি শিল্প ইউনিটের অনুকূলে প্লট বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে শিল্পোদ্যোক্তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ওষুধশিল্প বাংলাদেশে একটি উদীয়মান শিল্প খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৩৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পেটেন্টেড ওষুধ উৎপাদনের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি দ্রুত এপিআই শিল্পপার্কে কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসতে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান। এপিআই শিল্পপার্ক চালু হলে ওষুধশিল্প খাতে আমদানি ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ খবর