শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া

বিমানবন্দরে নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের প্রবেশমুখে এবং সামনের সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, কাদের গনি চৌধুরী, শেখ রবিউল আলম, মহিলা দলের নুরে আরা সাফা, ছাত্রদলের রাজীব আহসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যাওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের সবাই ভিতরে প্রবেশের সুযোগ পাননি। রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধ হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকের ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হয়ে খালেদা জিয়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার গুলশানের বাসায় পৌঁছেন। বিএনপি প্রধানের এ সংবর্ধনা দিতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়ে বিমানবন্দর থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দরের সামনে গোলচত্বর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত সড়কের বাম পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মী গাড়িবহরের ওপর ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে এবং করতালির মাধ্যমে তাদের চেয়ারপারসনকে অভিসিক্ত করেন। এ সময় খালেদা জিয়াও গাড়ির ভিতর থেকে হাত নেড়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর হজের উদ্দেশে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। একই সময়ে লন্ডন থেকে জেদ্দায় তার সঙ্গে মিলিত হন পুত্র তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, মেয়ে জায়মা রহমান এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। সৌদি আরবে বাদশা সউদ বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা হজ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার, আলোকচিত্রী নুরউদ্দিন আহমেদ, গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমসহ অন্য সফরসঙ্গীরাও গতকাল একই ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জের প্রবেশপথে পুলিশের ব্যারিকেড সৃষ্টির সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তার চেয়ারপারসনকে দেশবাসী চেনে, সরকারও চেনে। এরপরও সরকার আজকে যেভাবে বাধার সৃষ্টি করেছে, এটি কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করেছে। তারা আশা করেন, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সরকার নিরপেক্ষ রাখবে। ‘সার্চ কমিটি’ গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা এই সার্চ কমিটি গঠন করবেন তাদের মধ্যেই আগে সার্চ করে নেওয়া উচিত। এদিকে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে চলাচলে বিকাল থেকেই কড়াকড়ি করে পুলিশ। তার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে গুলশানের দিকে যাওয়ার সময় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকাল ৪টা থেকে নেতা-কর্মীরা সমবেত হতে থাকেন। তবে নেতা-কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। বিমানবন্দরে গাড়ি প্রবেশে কড়াকড়িতে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। দলের মহাসচিবসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে বিমানবন্দরের ভিআইপি সড়কের মোড়ে পুলিশ প্রবেশ করতে দিলেও বাকিদের আটকে দেয়। ফলে রাস্তায় নেতা-কর্মীর ঢল নামায় বিমানবন্দরের গোলচত্বর থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সর্বশেষ খবর