শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নেতাদের অযোগ্য করাই উদ্দেশ্য : খোকা

মাহমুদ আজহার

নেতাদের অযোগ্য করাই উদ্দেশ্য : খোকা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, দলের নেতাদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতেই সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা  জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায় সরকার। তাদের নির্বাচনে অযোগ্য করাই উদ্দেশ্য। এজন্য মিথ্যা অভিযোগের মামলায় জেল দেওয়া হচ্ছে। এখন সম্পদ দখল করে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। ন্যায়বিচার পেলে কোনো অভিযোগই উচ্চ আদালতে টিকবে না। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে নিউইয়র্ক থেকে টেলিফোনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত সাদেক হোসেন খোকা নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে কিছু দূরেই পরিবার নিয়ে থাকছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তিনি এখন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। ক্যান্সারের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। কয়েক দিন পরপর তাকে থেরাপি দিয়ে আসতে হয়। চিকিৎসকদের অনুমতি পেলে ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে দেশে ফেরার আভাসও দেন সাদেক হোসেন খোকা। শারীরিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়াও চান ঢাকা মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা। সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ‘আমার বৈধ সম্পত্তি দখল করে সরকার বিএনপিকে চাপে রাখতে চায়। অন্য নেতাদের মধ্যেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। গুলশানের বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হিসেবে আমাকে দেওয়া হয়েছিল। সায়েদাবাদ থেকে গোলাপবাগ রোডে মূল সড়কে আমার জমি দিয়ে সরকারি রাস্তা হয়। তার পরিবর্তে আমাকে ওই প্লটটি দেওয়া হয়। ১৯৯৮ সালে এনসিসি ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা লোন নিয়ে আমি ওই বাড়িটি করি। রাজউক থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমি ক্যান্সারের রোগী। উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিচ্ছি। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে আমার বাড়ি দখলে নিল সরকার।’ দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলা ও সাজা প্রসঙ্গে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা। ন্যায়বিচার পেলে এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হব। উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন আছি। আমার অনুপস্থিতিতে এ মামলার রায় হয়েছে। আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারিনি। তবে সাজা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর