শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিন দিনেও কেউ গ্রেফতার হয়নি লাশের সংখ্যা বেড়ে ২৭

সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চডুবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

দাসেরহাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় গতকাল সকালে আরও দুই নারী এবং এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধার কর্মীরা। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ জনে। উদ্ধারকর্মীরা জানান, আরও একজন নিখোঁজ আছেন। অন্যদিকে পুলিশ এ দুর্ঘটনার জন্য তিনদিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৭ শিশু, ১০ নারী এবং ১০ পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের হিসেবে এখনো রাজু হাওলাদার নামে এক যুবক নিখোঁজ আছে। রাজু একই উপজেলার মহিষাপোতা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। রাজুর বড়ভাই মাইনুল ইসলাম রাজিবও এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বানারীপাড়া থানার ওসি মো. জিয়াউল আহসান জানিয়েছেন, ২৮ জনের প্রাথমিক নিখোঁজ তালিকা থাকলেও তাদের মধ্য থেকে দুজন বাড়ি ফিরে গেছেন এবং ভুলভাবে তাদের নাম এই তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনার পর পাঁচজন তীরে উঠতে সক্ষম হন। যার মধ্যে আহত এক নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া বুধবার দুপুর দেড়টায় যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরুর পর ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া নৌযান থেকে নারী ও শিশুসহ ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরিরা।

ডুবে যাওয়া নৌযানটি গত বৃহস্পতিবার সকালে পানির উপরিভাগে উত্তোলনের পর সেটির মধ্য থেকে চার শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। ওই দিন সকালে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আরও ছয় জনের লাশ উদ্ধার হয়। গতকাল সকালে উদ্ধার হয়েছে আরও তিনটি লাশ। ওসি জানান, উদ্ধারকৃত নৌযানটি আটক করা হয়েছে। মালিক বানারীপাড়া পৌর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ আলী হাওলাদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর তিনদিন অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত নৌযানটির মালিক ইউসুফ কিংবা ওই সময়ে চালকের দায়িত্বে থাকা নয়নকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

সর্বশেষ খবর