টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ ও নাসিরুদ্দিন নুরু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ জানান, ফারুক হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে মাসুদ ও নূরু অন্যতম। তারা দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর-১ কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসার সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি ফারুক হত্যার অভিযোগে এমপি আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও পরিবহন ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে চারজন আগেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমানুরসহ বাকি ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
