ঢাকার সাবেক মেয়র, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার গুলশানের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার চার দিন পর গতকাল গাজীপুরে উপজেলা প্রশাসন তার ৬৬.৫৬ একর কৃষিজমি খাস খতিয়ানভুক্ত করে সরকারের হেফাজতে নিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুল ইসলাম, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব মিয়া প্রমুখ। জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলায় গত বছরের ২০ অক্টোবর গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে তিনি অবৈধভাবে ১০ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন ঘোষণা করে ওই সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। এর পরই আদালতের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন খোকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেয়। বুধবার ঢাকা জেলা প্রশাসন সাদেক হোসেন খোকার গুলশানে ছয়তলা ভবন বাজেয়াপ্ত করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। এর চার দিন পর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সাদেক হোসেন খোকার ৬৬.৫৬ একর জমি আদালতের আদেশে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ও হেফাজতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার দুটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় অবস্থিত ওই জমি দখলে নিয়ে লাল পতাকা ও সরকারি সাইনবোর্ড টাঙানোর কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বিজ্ঞ জজ আদালত-০৩-এর বিশেষ মামলা নম্বর ০২/২০১৫-এর ২০.১১.১৫ তারিখে রায় হয়। রায় মোতাবেক রাষ্ট্রের বাজেয়াপ্তকৃত ভূমি দণ্ডিত আসামি সাদেক হোসেন খোকার প্রতিষ্ঠানের নামীয় জোত/খতিয়ান থেকে বিভিন্ন মোকাদ্দমার মাধ্যমে কর্তন করে ৮৮.৭৪ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশ ও মামলার রায়ের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে যাচাই-বাছাই হয়।