রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র ইস্যুতে ইউনেস্কোর উদ্বেগের জবাব আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইউনেস্কোর জবাব দেব। সুন্দরবন সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকার সব সময়ই সচেতন। কারণ এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে আমাদেরও জাতীয় সম্পদ। গতকাল সকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণার ভূমিকা শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো শুধু রামপাল নিয়ে নয়, অন্য বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে। সেখানে আমাদের নদীর ব্যাপারগুলো এসেছে। আমরা এই উদ্বেগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং সেভাবেই জবাব তৈরি করছি। এখানে কিছু কারিগরি ব্যাপার আছে যা আমাদের জানতে হবে। আমরা এই কারিগরি বিষয়গুলো কীভাবে পরিচালনা করছি সেগুলো আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানটিকে জানানো প্রয়োজন। আর ইউনেস্কো এ বিষয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দেয়নি। আমাদের বক্তব্যটা ইউনেস্কোকে জানানো হলে তারা সুন্দরবন নিয়ে যে আশঙ্কায় আছে তা যে ঠিক নয় তা বুঝতে পারবে বলে আশা করছি। এ ছাড়া রামপালে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে ইউনেস্কোর এমন আশঙ্কাও সঠিক নয়। পরিবেশগত দিক বিবেচনা করেই সেখানে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। নসরুল হামিদ বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। এ প্রকল্পে যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বচক্ষে না দেখা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ধরেই নেব যে সুন্দরবন ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। একই সঙ্গে যারা আবেগ দিয়ে এ প্রকল্প নিয়ে কথা বলছেন তাদের যুক্তি উপস্থাপন করার আহ্বান জানান। তার মতে, দেশের উন্নয়ন পিছিয়ে নেওয়ার জন্যই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ যাতে বাধাগ্রস্ত হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।