সামনে অপেক্ষমাণ দুটি মাইলস্টোন- শততম ওয়ানডে জয় ও ঘরের মাঠে টানা ষষ্ঠ সিরিজ জয়। আগের ম্যাচেও টাইগারদের সামনে একই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পারেননি মাশরাফিরা। আজ পারবেন তো? গতকাল সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ক্যাপ্টেনকে দেখে বেশ চিন্তিতই মনে হয়েছে। ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তির বিরুদ্ধে টানা সিরিজ জয়ের পরও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এমন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে তা মাশরাফি হয়তো কখনই ভাবেননি। সিরিজে এখন ১-১ সমতা। আফগানদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে পরিসংখ্যানেও সমতা, ২-২। টাইগাররা বড় দলগুলোর সঙ্গে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললেও কেন যেন আফগানদের বিরুদ্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজেও ছিল কেমন যেন অস্বস্তির ছাপ। তবে অধিনায়ক মাশরাফি আগের দুই ম্যাচের কথা ভাবতে চান না। তবে এই ম্যাচে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেই জিততে চায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলই একটি করে জয় পাওয়ায় আজকের ম্যাচটি হয়ে গেছে অঘোষিত ফাইনাল। আগের ম্যাচে হারলেও আজকের ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি। তারপরও আফগানদের কঠিন প্রতিপক্ষ ভেবেই মাঠে নামবেন তারা। মাশরাফি বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ শুরুর আগে অনেকে ভেবেছিল সিরিজটা সহজ হবে। আমরা সহজেই জিতে যাব। আমি এবং আমার টিমের সবাই বিশ্বাস করেছিল এত সহজে আমাদের জয় পাওয়া সম্ভব হবে না।’ মাশরাফি এ কথাও বলেছেন, ‘আত্মবিশ্বাস অবশ্যই আছে। আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে হবে। আমার কাছে মনে হয় না আমরা এতদিন যে কাজগুলো করে এসেছি, যে সাফল্য পেয়েছি তা একদিনের একটি ম্যাচে শেষ হয়ে গেছে।’ আজকের ম্যাচটি জয়ের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ।
আফগানদের জন্য এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এমন ম্যাচে জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেত চায় আফগানিস্তান। গতকাল আফগান ক্রিকেটার হাশমতুল্লাহ শাহিদী বলেন, ‘এটা দারুণ এক মুহূর্ত। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামব। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, আগের দুই ম্যাচে যে ভুল করেছি এ ম্যাচে যেন সেগুলো না হয়। তবে আমরা ভালো খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’