দেশে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির  চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘কীভাবে বিগত নির্বাচন হয়েছে আমরা সবাই জানি। এটা সঠিকভাবে হয়নি। তবে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে।’ তিনি বলেন, দেশে মানুষ গুম-খুন হচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকার হচ্ছে না। দেশ ও মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন। এভাবে চলতে পারে না। মানুষ পরিবর্তন চায়। গতকাল  বিকালে সিলেট রেজিস্টারি মাঠে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, পানিসম্পদমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, ফখরুল ইমাম, সালমা ইসলাম, তাজ রহমান, সুনীল শুভ রায়, ফয়সল চিশতী, কাজী মামুন, নুরুল ইসলাম ওমর, হুইপ সেলিম উদ্দিন, ইয়াহইয়া চৌধুরী, পীর ফজলুর রহমান, আবদুল মুনিম চৌধুরী, ফখরুল আহসান শাহজাদা, এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান প্রমুখ। এরশাদ বলেন, ‘প্রতিদিন মানুষ মরছে। গুম-খুন-ধর্ষণ বাড়ছে। কিন্তু এসবের বিচার হচ্ছে না। দুঃখ লাগে, এই কি আমার দেশ? স্বাধীন দেশ?’ আবারও প্রাদেশিক সরকারের দাবি তুলে এরশাদ বলেন, দেশে প্রাদেশিক সরকারব্যবস্থা চালু হলে জনগণ এর সুফল পাবে। এক ব্যক্তির পক্ষে ১৬ কোটি মানুষকে শাসন করা সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে বলে জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘ক্ষমতা ছাড়ার পর সিলেটের মানুষ আমার প্রাণ রক্ষা করেছিল। তারা ভোট দিয়ে আমাকে অনেকগুলো আসন উপহার দিয়েছিল। সিলেটের মানুষের এ ভালোবাসা না পেলে আমাকে হয়তো ফাঁসিতে ঝুলতে হতো।’ ক্ষমতা ছাড়ার পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল ক্ষমতা ছাড়লে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু পরে আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে বিজয়ী হয়ে জাতীয় পার্টি আবারও ক্ষমতায় যেত।’