রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র : ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুন্দরবন ধ্বংস হলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে।

কোনোভাবেই সুন্দরবনকে আমরা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। সুন্দরবনকে ধ্বংস করার এ প্রকল্পকে রুখে দিতে হবে। প্রয়োজনে সারা বাংলাদেশের মানুষ এই  আন্দোলনের সঙ্গে শরিক হবে। আমরা বিদ্যুৎ চাই; কিন্তু সুন্দরবনকে ধ্বংস করে নয়। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘শুধু খুলনাবাসীকে রক্ষা করছে না, পুরো দেশ তথা দেশের ইকো সিস্টেমকে রক্ষা করছে। তাহলে আপনারা কী কারণে এটা করতে চাচ্ছেন, স্বার্থটা কী? ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনারা যত কৌশল অবলম্বন করেছেন, সেই কৌশলের একটি হচ্ছে—বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করা।’ গতকাল দুপুরে খুলনায় ‘দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ভাবনা ও সুন্দরবন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘সুন্দরবন ধ্বংস হতে দেব না’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনটিএ) এ সভার আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে প্রতারণা করছে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ কী হচ্ছে, হচ্ছে না। যেটুকু হচ্ছিল তাও বন্ধ হয়ে গেছে, এই সরকারের ব্যর্থতার কারণে ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে। সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্যাডিজ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ টি এম নুরুল আমিন। এ অঞ্চলের পরিবেশ ও সুন্দরবন নির্ভরশীল জীবন-জীবিকা নিয়ে আলোচনা করেন আ ন হ আকতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. ওবায়েদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. খসরুল আলম, অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হাসান। সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি : এদিকে খুলনায় রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র-বিষয়ক সেমিনারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সেমিনার স্থলের প্রবেশমুখে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দলের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে মহানগরীর টাইগার গার্টেন হোটেলে সেমিনার কক্ষে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের শেষ দিকে গেটের কাছে প্রথম দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির সময় অডিটোরিয়ামের দেয়ালের একটি গ্লাস ভেঙে যায়। বক্তৃতার সময় নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি ও হৈচৈ মির্জা ফখরুল কয়েকবার থমকে যান। এক পর্যায়ে তিনি নিজেই বলেন, ‘তোমাদের কী হয়েছে?’ অপরদিকে দ্বিতীয় দফায় মহাসচিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো নিয়েও হোটেল সিটি ইনের সামনে আরেক দফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।

সর্বশেষ খবর