গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার তাহমিদ হাসিব খানকে জামিন দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা জামিনের এ আদেশ দেন। এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির  ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবীর এ অভিযোগ থেকে তাহমিদকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, তদন্ত শেষে তাহমিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করা হলো। এ ছাড়া আরেক আবেদনে বলা হয়, গত ২ জুলাই তাহমিদকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ১০ জুলাই এবং ২১ জুলাই তাহমিদকে হাজির হতে নোটিস ইস্যু করে। কিন্তু তাহমিদ সেই নোটিসের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি এবং জঙ্গিদের বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ১৭৬ ধারা অনুযায়ী প্রসিকিউশন দাখিলের জন্য অনুমতির আবেদন করা হয়েছে। তবে উপরের ওই দুই আবেদনের বিষয়েই শুনানির জন্য আগামী ৫ অক্টোবর দিন ধার্য আছে। এদিকে গতকাল তাহমিদের আইনজীবীর জামিন আবেদনের শুনানি করলে বিচারক ৫ হাজার টাকার বন্ডে এবং স্থানীয় একজন জামিনদারের জিম্মায় জামিন দেন। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, কমান্ডো অভিযানে জঙ্গিরা নিহত হওয়ার পর হলি আর্টিজান থেকে তাহমিদের সঙ্গে উদ্ধার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ?্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে হাসনাত রেজা করিমকে গুলশান হামলা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও আফতাব বহুমুখী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের ছেলে তাহমিদের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। এর আগে ১ জুলাই রাত ৯টার দিকে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ওই হামলায় ২০ জন নিহত হয়। এ ছাড়া অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর এক কর্মী।