বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অহংকার বাদ দিয়ে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অহংকার বাদ দিয়ে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসুন

অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী

দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজনীতিবিদদের প্রতি অহংকার, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অহংকার করবেন না। অহংকার বাদ দিয়ে সুস্থধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে সরে আসুন। দুর্নীতি থেকে সরে আসুন। দেশে সত্যিকারের সুস্থধারার রাজনীতি সৃষ্টি করুন। না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।

অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর কুড়িলের দলীয় কার্যালয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি রাজনীতিবিদদের প্রতি এ আহ্বান জানান। ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এই রাজনীতিক। গতকাল তিনি ৮৭ বছরে পা রাখলেন। অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুর রহিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান ঝন্টুসহ দলীয় নেতারা বি চৌধুরীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এর আগে জন্মদিন উপলক্ষে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মহাসচিবসহ দলের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের শতায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বি চৌধুরী বলেন, সুস্থ রাজনীতি করতে হলে, সৎ রাজনীতি করতে হলে অত্যাচার নির্যাতনের মধ্যে দিয়েই যেতে হয়। সত্যিকারের সুস্থধারার রাজনীতি শুরু করার জন্যই বিকল্পধারার জন্মও হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের শুরুটাও হয়েছিল অত্যাচারের শিকার হওয়ার মধ্য দিয়েই। সৎ রাজনীতি করলে অত্যাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কথা বলা যায়। সৎ রাজনীতি করার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের দুর্নীতি, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। বি চৌধুরী আরও বলেন, সারা জীবন সন্ত্রাস, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি। তাই আজও সুস্থ রাজনীতি করতে পারি। বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, হয়তো অন্য কোনো বড় দলের মতো বিকল্পধারা বড় দল নয়, বিরাট দল নয়, কিন্তু সুস্থধারার রাজনৈতিক দল। আমরা যদি সমাজে ভালোর উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি, দলের নেতা-কর্মীরা যদি সমাজের মধ্যে নিজের ভালো ইমেজ গড়ে তুলতে পারে, জনগণের মধ্যে ভালোর পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে পারে তাহলে ছোট দল হয়েও একদিন আমরা বড় শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হব এটা আমার বিশ্বাস। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এতদিন হয়ে গেল কিছুই পেলাম না বলে অনেকে আক্ষেপ করতেই পারে। কিন্তু মনে রেখ, বিশ্বকবির সেই চরণটি, যদি মরণ দুঃখেও একটি মুহূর্ত ব্যয় করতে পারি তোমার তরে, সেটাই হবে— সমাজের সেরা উদাহরণ। অপরের ভালোর জন্য নিজেকে উজাড় করে দেওয়াই হবে সেরা রাজনীতি। মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, ৮৬ বছরের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আজও ২৬ বছরের তরুণ। জীবনের বাকি ৬৬ বছর বাংলাদেশের রাজনীতির বোনাস হিসেবে কাটিয়েছেন। যেমন আজও তিনি বাংলাদেশের জনগণের প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর