শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জিনপিংকে আপ্যায়ন কাচ্চি বিরানিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে আসা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য বঙ্গভবনের নৈশভোজে ছিল ১০ পদের খাবার। চীনের ঐতিহ্যবাহী সিচুয়ান ঘরানার রান্না যেমন ছিল, তেমনি ছিল ঢাকাই কাচ্চি বিরিয়ানি, শামি কাবাব ও আলু বোখারার চাটনি আর ডেজার্টে মালাই চপ। নৈশভোজের ম্যানু কার্ড থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল রাতে শি জিনপিংয়ের সম্মানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেওয়া এই নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীনা প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর শুরু হয় নৈশভোজ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, হোটেল সোনারগাঁওয়ে রান্না করা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় চীনা প্রেসিডেন্টকে। ওই হোটেলের কর্মীরাই খাবার পরিবেশন করেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে এই নৈশভোজে ছিল ১০ পদের খাবার, যার মধে?্য একটি পদ ছিল চীনের ঐতিহ?্যবাহী সিচুয়ান ঘরানার রান্না। পাঁচ কোর্সের ভোজ শুরু হয় পোচড জায়ান্ট কিং প্রন দিয়ে, পরিবেশন করা হয় আম ও আপেল সালসার সঙ্গে। এরপর টেবিলে আসে ক্রিম অফ মাশরুম স্যুপ। সঙ্গে ছিল হোম মেইড ব্রেড। স্যুপের পর আসে অয়েস্টার সস মেশানো ক্রিপসি সালাদে সাজানো স্মোকড ইল। মেইন কোর্সে ছিল পুদিনার সস আর পাপড়ের সঙ্গে চিকেন টিক্কা, কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে আলু বোখারা, দই ও আর শামি কাবাব। আরও ছিল সিচুয়ান কায়দায় রান্না করা গরুর মাংসের সঙ্গে ভাত। ডেজার্টে ছিল বাংলাদেশি মিষ্টি মালাই চপ, মৌসুমি ফল, চা আর কফি। চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সফরসঙ্গীরাও নৈশভোজে অংশ নেন। ভোজের আগে শিল্পকলা একাডেমির একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন তারা। নৈশভোজ শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের ‘ভিজিটরস বুকে’ সই করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার পাশে ছিলেন।

সর্বশেষ খবর